কৃতজ্ঞতা ও বিজ্ঞাপন । স্বপ্ন-প্রয়াণ ও তত্ত্ববিদ্য। প্রভৃতির লেখক শ্ৰীযুক্ত বাবু দ্বিজেন্দ্রনাথ ঠাকুর, মদীয়-ছাত্র এবং চিরপ্রতিপালক বহরমপুর নিবাসী পুরাতত্ত্ব লেখক ত্রযুক্ত বাবু রামদাস সেন, ধৰ্ম্মতত্ত্বদীপিকা প্রভৃতির লেখক শ্ৰীযুক্ত বাবু রাজনারায়ণ বস্তু, হীরামপুর নিবাসী এম এ উপাধি ধারী শ্ৰীযুক্ত বাবু নারায়ণচন্দ্র ভট্টাচাৰ্য্য, বি এল, উপাধি প্রাপ্ত কলিকাতা জজকোটর উকীল খ্ৰীযুক্ত বাবু জগদীশচন্দ্র বহু প্রভৃতি মহাত্মা গণের ইচ্ছা এই যে, দেশীয় লোকের দ্বারা দেশীয় দর্শনশাস্ত্রের অস্তুমৰ্ম্ম সকল নিষ্কাশিত হইয়। ক্রমশ: বঙ্গভাষায় আনীত হইতে আরম্ভ হইলে বড় আনন্দের বিষয় হয় । বিশেষতঃ রামদাস বাবুর সাহায্যে আমি যখন অধ্যয়ন করি, তপন হইতেই উtহার ইচ্ছা যে, আমি কোন দার্শনিক প্রস্তাব লিগি । উল্লিখিত মহাত্মাগণ এবং আত্মীয় বর্গের তাদৃশ ইচ্ছার অনুবত্তী হইয়। রাজৰ্ষিতুল্য বহুমানাম্পদ স্ত্রীল প্রযুক্ত বাবু দেবেন্দ্রনাথ ঠাকুর তথা শ্ৰীযুক্ত জ্যোতিরিন্দ্রনাথ ঠাকুব মহোদয়ের যত্নে ও অনুগ্রহে অমি সাম্বাদর্শন’-শীর্ষক এই ক্ষুদ্র পুস্তক খানি মুদ্রিত ও প্রচারিত করিলাম । ইতিপূর্বে ইহার অধিকাংশই ক্রম প্রকাশ্য রূপে তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় প্রকাশিত হইয়াছিল, সম্প্রতি সেই সকল প্রস্তাব সঙ্কলিত, পরিমাজিত ও পরিবদ্ধিত করিয়া পুস্তকাকারে মুদ্রিত করিলাম । এক্ষণে অধ্যেতা ও অধ্যাপক গণের নিকট আমার বিনয় প্রার্থনা এই যে, দুরবগাহ দর্শনশাস্ত্রে হস্তক্ষেপ করা মাদৃশ অল্পজ্ঞ চপলমতি ব্যক্তির পক্ষে অত্যন্ত অসঙ্গত জানিয়ও আমি যে আপনাদের নিকট এই চাপল্য প্রকাশ করিলাম, আমার এ অপরাধ আপনারা নিজগুণে মাজ মা করিবেন । অপব নিবেদন এই যে, ইহাতে কোন প্রকার ভ্রম প্রসাদ দৃষ্ট হইলে তাহা আমাকে অনুগ্রহ করিয়া জ্ঞাপন করিবেন । তাহ হইলে তামি আপনাদের নিকট শিক্ষালাভ করিতে পারিব এবং ভবিষ্যতে যদি ইহার ভাগে পুনমুত্রণ থাকে-তবে সে সময়ে, তাহা অামি অনায়াসে পরিহার করিতে পারিব । ইতালম । r শ্ৰীকালীবর শর্শ্ব । 3. পুড়া, বশীর হাট । ”
