»३ সাত্ম্যদর্শন। ঔপদেশিক-জ্ঞান ও না, ফাটক দিতেও পরিবেন না। অথচ তাহাকে তত্তৎকার্য্যে আবদ্ধ রাখিতে হইবে-প্রত্যেক উপদেষ্টব্য বিষয়ে লোকের প্রবৃত্তি বা নিবৃত্তি জন্মাইতে হইবে। তিনি কি করেন,“কর” বা “করিও না” এই মাত্র বলিলে, পাছে কেহ তাহা না শুনে, এই ভয়ে অগত্য র্তাহাকে সমস্ত উপদেশ গুলিকে ফলাফল সংযুক্ত করিয়া স্তুতি নিন্দ বা পুরস্কার তিরস্কার পরিপূর্ণ করিয়া উপদেশ করিতে হইয়াছে ৮ বাক্যের শক্তি, কিরূপে বাক্য বা বাক্যবিন্যাস দ্বারা তাৎকালিক লোকদিগকে কতদূর বশীভূত করা যায়—ভূলান যায়—মোহিত করিয়া রাখা যায়—তাহ তাহার সেরূপ বুঝিতেন,তদনুসারেই তাহারা শাস্ত্র রচনা করিয়াছেন । অতএব যে সকল কৰ্ম্ম কৰ্ত্তব্য বলিয়া উপদিষ্ট হইয়াছে, বা অকৰ্তব্য বলিয়া নিষিদ্ধ হইয়াছে, তত্তাবতের লিখিত ফলাফল যে সমস্তই ঠিক এরূপ নহে। কেন না,উপদেষ্টব্য বিষয়ে ফলাফল সংযোগ করা কেবল লোকের তত্ত্বৎকার্য্যে রুচি জন্মাইবার নিমিত্ত। মহর্ষি বাস বলিয়াছেন “ রোচনার্থ ফলশ্রুতি:" মনুষ্যের কার্য্যপ্রবৃত্তিতা ও অকাৰ্য্য-নিবৃত্তিত সাধনের নিমিন্তই ফলের উল্লেখ করা হয়। "पिव निम्ब प्रदास्वामि खलु ते खख-लड्डुकम् । प्रित्रैवमुक्त: पिवति न फलं तावदेव तु ।" [ भौम!१गां अश्वं ] পুত্রের আরোগাকামী পিতা যেম্ন নানাবিধ ওলোভন দ্বারা শিশু সন্তানকে তিক্তাস্বাদ ঔষধ সেবনে প্রবৃত্ত করান, প্রজাবর্গের কুশলকামী শাস্ত্ৰও তেমনি অজ্ঞান প্রজাদিগকে ফলাফলের লোভ দেখাইয়া সৎকার্ঘ্যে প্রক্তি ও অকাৰ্য হইতে নিবৃত্তি রাখিবার চেষ্ট্র পান। তিক্ত ভোজন করা হইলে পিতা যেমন বালককে মোক প্রভৃতি স্বীকৃত লোভা বস্তু প্রদান করেন না, শাস্ত্ৰও তেমনি উপদিষ্ট