বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/১৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

د له۱ নোদনের অবলম্বনস্বরূপ যৎকিঞ্চিৎ সৎকাব্য আলোচনা কর, আর তত্বচিত্ত বহুপরিমাণে কর। পূৰ্ব্ব পূর্ব পণ্ডিতেরাও কাব্যশাস্ত্র ও জ্ঞানশাস্ত্রের পরস্পর বাধ্য-বাধক ভাব নির্দেশ করত এই কথাই বলিয়াছেন। যথা, “काव्येन इन्यते शास्त्रं काव्यं गौतेन इन्धते । गौतन्तु स्रौबिलासन स्रौविलासी बुभुचया ॥” কাব্য জ্ঞানশাস্ত্রকে বিনাশ করে। আবার কাব্যকে বিনাশ করে গীত। গীতকে বিনষ্ট করে স্ত্রীবিলাস, স্ত্রীবিলাসকে দূর করে বুভূক্ষ। জ্ঞানিশ্রেষ্ঠ কবি শিক্ষণ মিশ্রও অপকৃষ্টরসোদ্দীপক কাব্য রচগ্নিতাদিগকে লক্ষ্য করিয়া এই আক্ষেপোক্তি প্রকাশ করিয়াছেন,– ' “यदा पृकृतैव जनंस्य रागिण: खत: प्रदॊली इदि मग्नधानखः। तदाव भूयःकिमनर्थपखितैः कुकावा इच्याइतयी निवेशिताः !” শিক্ষণ কবি শৃঙ্গার রসের কবিতালেথকদিগকে অনর্থ পণ্ডিত বলিয়াছেন। উক্ত শ্লোকের মৰ্ম্মার্থ এই যে, কামাগি, মনুষ্য হৃদয়ে স্বভাবতঃই প্রজ্জ্বলিত, তাহাতে আবার অনর্থ-পণ্ডিতেরা নিরন্তর কু-কাব্য রূপ ঘৃতাহুতি নিক্ষেপ করিতেছে, ইহা কি সামান্য আক্ষেপের বিষয়! এইরূপ, দার্শনিক পণ্ডিতেরাও কামিনীজিজ্ঞাসাকে জ্ঞানের বিশেষ । প্রতিবন্ধক বলিয়া জানেন। র্তাহারা সব্বদাই বলেন “কালিনী জিন্নাম্ভাৱন: সনিৰম্বিন্ধা”—অতএব, কেবল কামিনী ধ্যানের উদ্দীপক কাবোর উন্নতি দেখিয়া আমাদের সস্তুষ্ট থাকা উচিত নহে,--অস্তস্তত্ব প্রভৃতি তাত্বিক ভাব ও তৎপ্রকাশোপযোগী ভাষা, এতদুভয়েরই বহু আন্দোলন করা উচিত।