o সাংখ্যদর্শন । [সংক্ষিপ্ত বলা যায়, তাহ কেবল মনের আবেগ নিবৃত্তি করা মাত্র। যাহাই হউক, অন্ততঃ মনোবেগ নিবৃত্তির নিমিত্তও আমাকে কিঞ্চিৎ বলিতে হইতেছে। যুক্তিশাস্ত্রের প্রথম নিৰ্ম্মাতা কে ?—অনুসন্ধান করিতে গেলে পক্ষাপক্ষ উপস্থিত হইবে। এক ক্ষের অভিপ্রায় এই যে “নাস্তিক সম্প্রদায়ের কোন আদি পুরুষই যুক্তিপথের আবির্ভাবক। যে হেতু সমস্ত আস্তিক শাস্ত্র হৈতুক (শুষ্কতর্ক বা নাস্তিকোচিত তর্ক] শাস্ত্রের নিন্দায় পরিব্যাপ্ত। পুরাণের ত কথাই নাই, বৃদ্ধমহর্ষি মনুও— “धीऽवमन्येत ते मूले हेतु शास्त्राश्रयाद् द्विजः । स साधुभिर्वस्तिकायों नालिकी वेदनिन्दकः॥"२०. এই বলিয়া হেতু শাস্ত্রের নিনা ও তদবলম্বিদিগকে বৈদিক দ, হষ্টতে বহিষ্কৃত করিবার অনুমতি দিয়াছেন। বেদভাগ অন্বেষণ कब्रिट्ल७ “नैषा तर्केण मतिरापनेया” “तर्डक आङ्क रसदैवैद मय आसीत्' ইত্যাদি প্রকার নাস্তিক্য-নিন্দাস্থচক বহুতরবাক্য প্রাপ্ত হওয়া যায়। অতএব, অস্তিক্য উন্নতির পূৰ্ব্বে যে হেতুশাস্ত্রের জন্ম, তাহাতে আর ংশয় নাই ।” সম্ভব বটে। আদিমকালের ঋষিদিগের বলবৎ সরল-হৃদয়-নিম্পাদিত বেদনির্ণয় অবলম্বন করিয়৷ ধৰ্ম্মাচরণ ও বস্তুনির্ণয় করাই সম্ভব— দ্বিতীয় কালের লোকদিগের ক্রমে কৌটিল্য-কবলিত তীক্ষবুদ্ধি হওয়াই যুক্তিসিদ্ধ-তীক্ষবুদ্ধি পুরুষের বৈদিক মতে আস্থা উচ্চটিত হওয়াই অনুভবসিদ্ধ-মাস্থা উচ্চটিত হওয়াতেই তাহাদের পূর্বাগত মতকে ‘দূরীভব করিবার চেষ্টা জন্মিয়াছিল—তৎপরিপাকদশায় বিশ্বাসের সৰ্ব্বনাশক তর্ক উদিত হইয়াছিল। -
