বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চক্ষুরিক্রিয়। ] সাংখ্যদর্শন । 喙 &> জন্য জ্ঞান ঐন্দ্ৰিয়ক, অনুমান বা যুক্তিমূলক জ্ঞান যৌক্তিক, আর উপদেশ জন্য জ্ঞান ঔপদেশিক নামে ব্যবহৃত হয়। ইহার নামাস্তর যথাক্রমে প্রত্যক্ষ,অনুমতি ও শাব্দ। এতন্মধ্যে প্রত্যক্ষটি সৰ্ব্ববাদি সম্মত, ইহাতে কাহারও আপত্তি দেখা যায় না। প্রমাণ চিন্তকের বলেন, প্রত্যক্ষ প্রমাণ প্রমাণাস্তরের জীবন, এজন্য অগ্রে প্রত্যক্ষের বিচার আবশ্যক। প্রতীক্ষটি যথার্থরূপে নিণীত হইলে অন্য প্রমাণগুলি সহজ হইয়া আইসে । তদনুসারে,আমরাও সৰ্ব্বাগ্রে প্রত্যক্ষ, বিশেষতঃ চাক্ষ প্রমাণের বিচারে প্রবৃত্ত হইলাম । *. চক্ষুরিন্দ্রিয় ও চাক্ষুষ-জ্ঞান । - "চক্ষরিক্রিয় কি ?—কি প্রকারেই বা চক্ষুদ্বারা বস্তু-জ্ঞান জন্মে ?” --এ বিষয়ে ভিন্ন ভিন্ন মত দৃষ্ট হয় । কোন বৌদ্ধ বলেন, “ চক্ষুর কেন্দ্র স্থানে যে স্বচ্ছ-কৃষ্ণবর্ণ-গোল-লাঞ্ছিত অংশ দৃষ্ট হয়, লোকে যাহাকে “ তার ” বা র চক্ষের মণি ” বলে, উহার আর একটি নাম কৃষ্ণসার । চাক্ষুষ-জ্ঞানের প্রতি ঐ কৃষ্ণসার যন্ত্রটিই কারণ ; কেন না, কৃষ্ণসার যন্ত্র অবিকৃত থাকিলেই বস্তু গ্রহ হয়, নচেৎ হয় না । সুতরাং ঐ কৃষ্ণসার যন্ত্রটিই ইন্দ্রিয়,তদ্ভিন্ন ‘চক্ষুরিন্দ্রিয়’ নামে অপর কোন স্বতন্ত্র বস্তু নাই । 聽 সাংখ্য বলেন, আছে। কৃষ্ণসারটিকে ইঞ্জিয় বলা সম্পূর্ণ ভ্রম। “ श्रतौन्द्रियमिन्द्रियं भ्रान्तानामधिष्ठानं “ ८याँठं दांखबिक इंग्निग्न, cज;ि অতীন্দ্রিয়। কোন কালেই তাহার প্রত্যক্ষ হয় না। দৃশ্যমান কৃষ্ণ সারটি তাহার অধিষ্ঠানস্থান মাত্র। অধিষ্ঠানকে ( আশ্রয়কে ) অধি ষ্ঠিত অর্থাৎ ইন্দ্রিয় বলা যে ভ্রম তাহ সহজ বোধ্য , মনে কর। বিষয় ও ইন্দ্রিয়,এতদুভয়ের সংযোগ না হইলে কোন 8