বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৫৪

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চাক্ষুষজ্ঞান । ] সাংখ্যদর্শন । ২৩ আহঙ্কারিক অর্থাৎ অহং তত্ত্বের পরিণাম বিশেষ। চক্ষু ও চাক্ষুষজ্ঞান সম্বন্ধে নৈয়ায়িকদিগের মত ও প্রক্রিয়া এইরূপ— “কৃষ্ণসার যন্ত্রে এক প্রকার রশ্মি আছে, তাহাই চক্ষুরিত্রিয় নামে অভিহিত হয। ঐ রশ্মি, সম-সূত্রপাত-ক্রমে ধারাকারে ও অবিচ্ছিন্নভাবে কৃষ্ণসার হইতে বিনিঃস্থত হইয়া সম্মুখস্থ বস্তুর সহিত সংযুক্ত হয়। সংযোগ হইবা মাত্র আত্মাতে “ ইহা অমুক বস্তু ” ইত্যাকার জ্ঞান সমুৎপন্ন হয়। পরস্তু দীপালোক যেমন চক্ষুষ্মা ব্যক্তির সম্বন্ধেই বস্তু প্রকাশ করে, অচক্ষু ব্যক্তির সম্বন্ধে করে না, সেইরূপ রশ্মিময় চক্ষুরিত্রিয়ও মনঃসংযুক্ত ইহা রূপবিশিষ্ট বস্তু প্রকাশ করে, অন্যথা করে না। রূপহীন বস্তু বা অমনোযুক্ত চক্ষুঃ, চাক্ষুষজ্ঞানের অনধিকারী। ফল, মনঃসংযোগ ব্যতীত কোন ইন্দ্রির দ্বারা জ্ঞান জন্মে না। ৫ এই মত নৈয়ায়িকদিগের। সাংখ্য মত অন্যবিধ। সাংখ্যাচার্যাদিগের মত এই যে, ইন্দ্রিয় সকল ভৌতিক নহে ; উহা আহঙ্কারিক। বিশেষতঃ চক্ষুরিন্দ্রিয় কোনক্রমেই ভৌতিক হইতে পারে না। কারণ, চক্ষু আপন অপেক্ষ নূ্যন বস্তু গ্রহণ করে, আবার বৃহৎপরি মণিবস্তুও গ্রহণ করে। চক্ষুরিক্রিয় যদি ভৌতিক হইত, তাহ হইলে সে কদাচ বৃহৎপরিমাণ বস্তুকে গ্রহণ করিতে পারিত না। কারণ, কোন অল্পপরিমিত ভৌতিকবস্তুকে ক্লোন বৃহৎ পরিমাণ বস্তু 牌 “रश्मार्थसब्रिकर्षासु तद्ग्रहण” “रश्झिगोंलकावच्छुिद्धं तेज:?? “ रश्मशीख संहत्यकारित्वं ” “ संहननं विषयदेशे ?’ “ ज्ञानत्वावच्छ्ध्नि प्रति লঙ্কালজয়ীম মেইল: ” (গৌতম ও বিশ্বনাথ প্রভৃতি)। দুই চক্ষুর দুই কৃষ্ণসার হইতে দুইটি রশ্মিধার নির্গত হইয়৷ তদুভয়ের অগ্রভাগ দৃশ্যৰস্তুতে গিয়া সম্মিলিত হয়। একটি চকু মুদিত করিলে অথবা নষ্ট হইলে অপর, চক্ষুর বলবৃদ্ধি হয় ও তন্নিৰ্গত রশ্মি কিঞ্চিং বিশীর্ণ ভাবে প্রসপিত হয় ।