বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাঙ্খ্যদর্শন - পরীক্ষাকাণ্ড.pdf/৫৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

চক্ষুধজান । ] সাংখ্যদর্শন । २¢ করিবে ? অতএব চক্ষুরিত্রিয়ের ভৌতিকত্ব পক্ষ অতি দুৰ্ব্বল, আহম্ভাৱিক পক্ষই প্রবল। ইন্দ্রিয়ের ভৌতিকত্ব পক্ষ যেরূপ সহজ বোধ্য, আহঙ্কারিক পক্ষ সেরূপ নহে। এপক্ষে কিঞ্চিৎ স্বল্প দৃষ্ট ও একাগ্রতার আবশ্যক। বিবেচনা কর, যাবৎফুদ্ধিবৃত্তির মূল অহংভাব। সমস্ত বুদ্ধিবৃত্তিই অহংভাবের পরিণাম । কেন না, এজগতে যত প্রকার বিশেষ বিশেষ জ্ঞান উপস্থিত হইতে দেখা যায়, তত্ত্বাবতের সঙ্গে আমি ’ বা আমার ? এবস্তপ্রকারের অহংভাব অমুস্থ্যত আছে। যদ্যপি স্থল বিশেষে অনেক সময়ে অহংভাবের জ্ঞাপক “ আমি ’ বা “ আমার * ইত্যাদি প্রকার শব্দের স্পষ্টত উল্লেখ হয় না ; তথাপি তাহার অভ্যন্তর-মূলে উহা নিহিত আছে সংশয় নাই। হিন্দুশাস্ত্রে, ‘ অ’ এই বর্ণটিকে সকল বর্ণের বীজ বলিয়া নিৰ্দ্ধারিত আছে ; যেহেতু ঐ ‘অ’ সমুদায় শব্দের অভ্যন্তরে বা মূলে নিহিত আছে। কি প্রকারে ? প্রণিধান কর। কোন বংশীতে ফুৎকার প্রদান করিব মাত্র তন্মধ্য হইতে প্রথমতঃ একটি অবিকৃত সরল শব্দ সমুখিত হয়। অনস্তর সেই শব্দ অঙ্গুলির চাপে বিকৃত হইয়া নানা আকার ধারণ করে। সেই সকল বিকৃত স্বর স-রি-গ-ম ইত্যাদি নামে প্রসিদ্ধ। মানববাক্যও এই বাংশিক নিনাদের তুল্য নিয়মাক্রাস্ত। প্রাণিদিগের প্রথমতঃ জাঠরাগ্নি ও প্রাণ-বায়ুর সহযোগে উদর কন্দর হইতে তদুভয়ের অভিঘাত জন্য একটা অবিকৃত সরল শব্দ উৎপন্ন হইয় থাকে। সেই বিশুদ্ধ সরল শব্দটির নাম নাদ । এই নাদই ভবিষ্যৎধ্বনি সমুদ্ৰায়ের বীজ। যতক্ষণ না উহা গলগহ্বরে উপস্থিত হয়, ততক্ষণ তাহা শ্রবণ

  • * ऋ। तेजीपसर्पचाभेजुसूचचु,खेतितत्तबिर्स’ ” ( सनःिश रङ्ग)