পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধনের সুর্য্যালোক । - • ভবন হইতে লোকাকীর্ণ পথের এমুড়া হইতে ওমুড়া পৰ্য্যস্ত সমস্তই তোমার কল্পনা-চক্ষে আবিভূতি হইল ; সেই কল্পনার ছবির উপরে তোমার বুদ্ধির আলোক নিপতিত হইবামাত্র তুমি বলিয়া উঠিলে “হইয়াছে—আমার বন্ধুর বাটতে ফুর্গোৎসব-তাহার চতুর্দিকে দীন দরিদ্র কৃষকপল্লী-চারিটি পথের মধ্যে এইটির দিকেই সবা’র কোক—অতএব এইটিই ঠিক্‌ পথ ” এইরূপে বুদ্ধির আলোকে স্মৃত্তির মেঘাচ্ছন্ন আকাশ নিমেষের মধ্যে পরিস্কার হইয়। গেল । উপরে সাধনের চারিটি পাশ্বরক্ষক দেখিতে পাওয়া গেল— চক্ষের আলোক, স্মৃতির আলোক, অনুরাগের আলোক, বুদ্ধির আলোক ; কিন্তু এ চারিটি আলোকের কেহই সুর্য্যালোক নহে— কেহ বা জোনাকের আলোক, কেহ বা প্রদীপের আলোক, কেহ ব। চন্দ্রের আলোক- এই মাত্র। আত্মার আলোকই হুর্য্যের আলোক। মনুষ্যকে চক্ষের আলোকে দেখিলে তাছাকে শরীর-যন্ত্র ছাড়া কিছুই মনে হয় না ; মনের আলোকে দেখিলে রাগ-দ্বেষাদি পরিপূর্ণ জন্তুর অধিক মনে হয় না ; অহরাগের আলোকে দেখিলে সৰ্ব্বোৎকৃষ্ট উন্নত জীব বলিয়া মনে হয় ; বুদ্ধির আলোকে দেখিলে স্বার্থভিষন্ধিপূর্ণ বিষয়ী ব্যক্তি বলিয়া মনে হয় ; আত্মার আলোকে দেখিলে অমৃতের পুত্র অমৃতনিকেতনের যাত্ৰী বলিয়া মনে হয় । এই আত্মার আলোকই সাধনের স্বৰ্য্যালোক। এই আত্মার আলোকেই আমরা আপনার আত্মার অভ্যন্তরে পরমাত্মাকে দর্শন করি—অন্য মনুষ্যের শরীর মন ভেদ করিয়া তাহাকে আধ্যাত্মিক ভ্রাতা বলিয়া আলিঙ্গন করি, এবং প্রত্যেক পরমাণু ভেদু করিয়া তাহার অভ্যস্তরে পরমেশ্বরের মহীয়সী শক্তি উপলব্ধি করি ।