বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১১০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রাচ্য সমাজ । »¢» হুলস্থল বাধাইয়া দেওয়া তাহার উদেশ্য ছিল না। সে সমরে আরব সমাজে যে উচ্ছৃঙ্খলতা ছিল তাহাঁই যথাসম্ভব সংযত করিতে তিনি মনোনিবেশ করিলেন । পূৰ্ব্বে বহুবিবাহ, দাসীংসর্গ ও যথেচ্ছ স্ত্রীপরিত্যাগের কোন বাধা ছিল না তিনি তাহার সীমা নির্দিষ্ট করিয়া দিয়া স্ত্রীলোককে অপেক্ষাকৃত মান্যপদবীতে আরোপন করিলেন । তিনি বীর বার বলিয়াছেন স্ত্রীবর্জন ঈশ্বরের চক্ষে নিতান্ত অপ্রিয় কাৰ্য্য। কিন্তু এ প্রথা সমূলে উৎপাটিত করা কাহারও সাধ্যায়ত্ত ছিল না। এই জন্য তিনি স্ত্রীবর্জন একেবারে নিষেধ না করিয়া অনেকগুলি গুরুতর বাধার স্বষ্টি করিলেন। লেখক বলেন স্ত্রীলোকের অধিকার সম্বন্ধে খৃষ্টীয় আইন অপেক্ষ মুসলমান আইনে অনেক উদারতা প্রকাশ পায়। হিন্দু শাস্ত্রে যেমন বিশেষ বিশেষ কারণে স্বামীত্যাগের বিধি আছে কিন্তু হিন্দু সমাজে তাহার কোন চিকু নাই, সেইরূপ, লেখক বলেন মুসলমান শাস্ত্রেও অত্যাচার, ভরণপোষণের অক্ষমতা প্রভৃতি কারণে স্ত্রীর স্বামীত্যাগের অধিকার অাছে। আমরা যেরূপ লীলাবতী ও খণর দৃষ্টান্ত সৰ্ব্বদা উল্লেখ করিয়া থাকি, লেখক সেইরূপ প্রাচীন কালের মুসলমান বিদুষীদের দৃষ্টান্ত সংগ্ৰহ করিয়া তৎকালীন আরব রমণীদের উন্নত অবস্থা প্রমাণ করিয়াছেন । যাহা হউক্‌ মান্তবর আমীর আলি মহাশয় প্রমাণ করিয়াছেন যে, কোন কোন বিষয়ে মুসলমানদের প্রাচীন সামাজিক আদর্শ উচ্চতর ছিল এবং মহম্মদ যে সকল সংস্কার-কার্য্যের স্বত্রপাত করিয়াছিলেন, তাহাকেই তিনি চূড়ান্ত স্থির করেন নাই। মধ্যস্থ