বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১৪৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిథి కి मृींश्म । “তুই থাকিবি কোথায় ?” জুলিখা বলিল “আমিনার কাছে ” বৃদ্ধ ভাবিল এওত বিষম বিপদ ! জিজ্ঞাসা করিল “থাইবি কি ?” জুলিথা বলিল “তাহার উপায় আছে” বলিয়া অবজ্ঞাভরে ধীবরের সন্মুখে একটা স্বর্ণমুদ্রা ফেলিয়া দিল । আমিনা সেটা কুড়াইয়া ধীবরের হাতে তুলিয়া দিয়া চুপিচুপি কহিল “বুঢ়, আর কোন কথা কহিস না, তুই কাজে যা । বেলা হইয়াছে।” জুলিখা ছদ্মবেশে নানা স্থানে ভ্রমণ করিয়া অবশেষে আমিনার সন্ধান পাইয়া কি করিয়া ধীবরের কুটীরে আসিয়া উপস্থিত হইয়াছে সে সমস্ত কথা বলিতে গেলে দ্বিতীয় আর একটি কাহিনী হইয় পড়ে । তাহার রক্ষাকৰ্ত্ত রহমত শেখ ছদ্মনামে আরাকান রাজসভায় কাজ করিতেছে । দ্বিতীয় পরিচ্ছেদ । ছোট নদীটি বহিয়া যাইতেছিল এবং প্রথম গ্রীষ্মের শীতল প্রভাতবায়ুতে কৈলু গাছের রক্তবর্ণ পুষ্পমঞ্জরী হইতে ফুল ঝরিয়া পড়িতেছিল। গাছের তলায় বসিয়া জুলিখা আমিনাকে কহিল “ঈশ্বর যে আমাদের দুই ভগ্নীকে মৃত্যুর হাত হইতে রক্ষা করিয়াছেন সে কেবল পিতার হত্যার প্রতিশোধ লইবার জন্য । নহিলে, আর ত কোন কারণ খুঁজিয়া পাই না।” আমিন নদীর পরপারে সর্বাপেক্ষ দূরবর্তী সৰ্ব্বাপেক্ষ ছায়াময় বনশ্রেণীর দিকে দৃষ্টি মেলিয়া ধীরে ধীরে কহিল “দিদি, আর ওসব কথা বলিস্নে ভাই। আমার এই পৃথিবীট একরকম বেশ লাগিতেছে । মরিতে চায় ত পুরুষগুলো কাটাকাটি করিয়৷ মরুকূগে, আমার এখানে কোন দুঃখ নাই ”