পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১৪৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२०२ সাধনা | চুপ করিয়া বসিয়া রহিল। এমন সময় হঠাৎ ধুপ্ত করিয়া একটা লম্ফের শব্দ হইল, এবং পশ্চাৎ হইতে কে একজন জুলিখার চোখ টপিয়া ধরিল। জুলিথ ক্রস্ত হইয়া উঠিয়া কহিল “কেও ” স্বর গুনিয়া যুবক চোখ ছাড়িয়া দিয়া সম্মুখে আসিয়া দাড়াইল, জুলিখার মুখের দিকে চাহিয়া অমানবদনে কহিল “তুমি ত তিরি নও।” যেন জুলিথা বরাবর আপনাকে তিন্নি বলিয়া চালাই বার চেষ্টা করিতেছিল, কেবল যুবকের অসামান্ত তীক্ষবুদ্ধির কাছে সমস্ত চাতুর প্রকাশ হইয় পড়িয়াছে। জুলিখা বসন সম্বরণ করিয়া দৃপ্তভাবে উঠিয়া দাড়াইয়া দুইচক্ষে অগ্নিবাণ নিক্ষেপ করিলেন। জিজ্ঞাসা করিলেন “কে তুমি ” যুবক কহিল “তুমি আমাকে চেন না। তিন্নি জানে। তিন্নি কোথায় !” তিন্নি গোলযোগ শুনিয়া বাহির হইয়া আসিল। জুলিথার রোষ এবং যুবকের হতবুদ্ধি বিস্মিতমুখ দেখিয়া অামিন উচ্চৈঃস্বরে হাসিয়া উঠিল। কহিল "দিদি ওর কথা তুমি কিছু মনে করিয়ে না। ওকি মানুষ ! ও একটা বনের মৃগ। যদি কিছু বেয়াদবী করিয়া থাকে, আমি উহাকে শাসন করিয়া দিব । দালিয়, তুমি কি করিয়াছিলে " যুবক তৎক্ষণাৎ কহিল “চোখ টিপিয়া ধরিয়াছিলাম। আমি মনে করিয়াছিলাম তিন্নি । কিন্তু ও ত তিন্নি নয়।” তিন্নি সহসা দুঃসহ ক্রোধ প্রকাশ করিয়া উঠিয়া কহিল “ফের ! ছোট মুখে বড় কথা ! কবে তুমি তিন্নির চোথ টিপিয়াছ ? তোমার ত সাহস কম নয় " যুবক কহিল “চোখ টপিতে ত খুব বেশি সাহসের আবশ্যক করে না । বিশেষতঃ পূর্বের অভ্যাস থাকিলে। কিন্তু সত্য বলিতেছি তিন্নি, । আজ একটু ভয় পাইয়া গিয়াছিলাম।” বলিয়া গোপনে জলি