বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১৫৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

*3*・ সাধনা | বার সময় দিয়া গেছে।” এই বলিয়াই দ্রুত শিবিকায় উঠিয়া" পড়িল । মহা সমারোহে শিবিকা চলিয়া গেল। আমিনায় । কুটার, নদীতীর, কৈলুতরুতল অন্ধকার নিস্তব্ধ জনশূন্য হইয়া গেল । যথাকালে শিবিকাদ্বয় তোরণদ্বার অতিক্রম করিয়া অন্তঃপুরে প্রবেশ করিল। দুই ভগ্নী শিবিক ত্যাগ করিয়া বাহিরে আদিল । আমিনার মুখে হাসি নাই, চোখেও অশ্রুচিকু নাই। জুলিখার মুখ বিবর্ণ। কৰ্ত্তব্য যতক্ষণ দুরে ছিল ততক্ষণ তাহার উৎসাহের তীব্রত ছিল—এখন সে কম্পিত হৃদয়ে ব্যাকুল স্নেহে আমিনাকে আলিঙ্গন করিয়া ধরিল, মনে মনে কহিল নব প্রেমের বৃন্ত হইতে ছিন্ন করিয়া এই ফুটন্ত ফুলটিকে কোন রক্তস্রোতে ভাসাইতে যাইতেছি । কিন্তু তখন আর ভাবিবার সময় নাই। পরিচারিকাদের দ্বারা নীত হইয়। শত সহস্র প্রদীপের অনিমেষ তীব্রভৃষ্টির মধ্য দিয়া দুই ভগ্নী স্বপ্নাহতের মত চলিতে লাগিল, অবশেষে, বাসরঘরের দ্বারের কাছে মুহূর্তের জন্য থামিয়া আমিন জুলিখাকে কহিল “দিদি ” জুলিখা আমিনাকে গাঢ় আলিঙ্গনে বাধিয়া চুম্বন করিল। উভয়ে ধীরে ধীরে ঘরে প্রবেশ করিল । রাজবেশ পরিয়া ঘরের মাঝখানে মছলনা শয্যার উপর রাজা বসিয়া আছেন । আমিন সসঙ্কোচে দ্বারের অনতিদূরে দাড়াইয়া রছিল। জুলিথ। অগ্রসর হইয়। রাজার নিকটবৰ্ত্তী হইয়া দেখিল রাজা নিঃশব্দে সকৌতুকে হাসিতেছেন। জুলিথা বলিয়া উঠিল “দালিয়৷ ” আমিন। মূৰ্ছিত হইয়া পড়িল। দালিয়া উঠিয়া তাহাকে আছত পার্থীটির মত কোলে করিয়া তুলিয়া শয্যায় লইয়া গেল ।