পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/১৬৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

जांशृनां । । ماذهب যন্ত্রবিজ্ঞানের উন্নতি সহকারে যন্ত্র যতই সম্পূর্ণ হইবে তাহী চালনা করিতে মানুষের বুদ্ধির আবশ্যক ততই হ্রাস হইয়া আসিবে, এবং স্বাধীনবুদ্ধিসম্পন্ন জীবের পক্ষে সে কাজ ততই অসহ্য হইয়া উঠিবে—আশা আছে, ভারতবর্ষীয়দের বিশেষ উপযোগিতা তখনি যুরোপ বুঝিতে পরিবে। যাহারা মান্ধাতার আমলের লাঙ্গলে চাষ করিতেছে, যাহারা মনুর আমলের ঘানিতে তেল বাহির করিতেছে, যাহার, যেখানে পড়ে সেইখানে পড়িয়া থাকাকেই পৃথিবীর মধ্যে সৰ্ব্বোচ্চ গৌরবের বিষয় বলিয়া গৰ্ব্ব করে আবশ্যক হইলে তাহারাই সহিষ্ণুভাবে নতশিরে সমস্ত যুরোপের কল টানিতে পারবে। যদি বরাবর পবিত্র আর্য্যশিক্ষাই জয়ী হয় তবে আমাদের প্রপৌত্রদিগের চাকরির জন্য বোধ হয় আমাদের পৌত্রদিগকে অধিক ভাবিতে হইবে না। মায়ার খেলা । (স্বরলিপি।) দ্বিতীয় দৃশ্য। নব যৌবন বিকাশে গ্রন্থের নায়ক অমর সহসা হৃদয়ের মধ্যে এক অপূৰ্ব্ব আকাঙ্খা অনুভব করিতেছে। সে উদাসভাবে জগতে আপন মানসী মূৰ্ত্তির অনুরূপ প্রতিমা খুজিতে বাহির হইতেছে। এদিকে শাস্ত আপন প্রাণ-মন অমরকেই সমৰ্পণ করিয়াছে । কিন্তু চিরদিন নিতান্ত নিকটে থাকতে শাস্তার প্রতি অমরের প্রেম জন্মিতে অবসর পায় নাই। অমর শান্তার হৃদয়ের ভাব না বুঝিয়া চলিয়া গেল। মায়াকুমারীগণ পরিহাসচ্ছলে গাহিল—