বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২১৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

总冷8 সাধন । অামি বলিলাম “অবিশ্বাসের কোন কারণ দেখিতেছি নামানুষের নাড়ি সকল অবস্থায় সমান চলে না।” “কালক্রমে আরো দুই চারিবার রোগ ও আরোগ্য হইবার পরে দেখিলাম, আমার সেই সন্ধ্যাকালের মানস-সভায় পৃথিবীর কোটি কোটি পুরুষসংখ্যা অত্যন্ত হ্রাস হইয়। ক্রমে একটিতে আসিয়া ঠেকিল, আমার পৃথিবী প্রায় জনশূন্য হইয়া আসিল । জগতে কেবল একটি ডাক্তার এবং একটি রোগী অবশিষ্ট রহিল । আমি গোপনে সন্ধ্যাবেলায় একটি বাসন্তী রঙের কাপড় পরিতাম, ভাল করিয়া খোপা বঁধিয়া মাথায় এক গাছি বেল ফুলের মালা পরিতাম, একটি আয়ন হাতে লইয়। বাগানে গিয়া বসিতাম। কেন ! আপনাকে দেখিয়া কি আর পরিতৃপ্তি হয় না ! বাস্তবিকই হয় না। কেন না, আমি ত আপনি আপনাকে দেখিতাম না । আমি তখন একলা বসিয়৷ জুইজন হইতাম । আমি তখন ডাক্তার হইয়া আপনাকে দেখিতাম, মুগ্ধ হইতাম এবং ভাল বাসিতাম এবং আদর করিতাম। অথচ প্রাণের ভিতরে একটা দীর্ঘনিশ্বাস সন্ধ্যাবাতাসের মত হুহু করিয়া উঠিত। সেই হইতে আমি অrর একলা ছিলাম না ; যখন চলি তাম, নতনেত্রে চাহিয়া দেখিতাম পায়ের অঙ্গুলিগুলি পৃথিবীর উপরে কেমন করিয়া পড়িতেছে, এবং ভাবিতাম। এই পদক্ষেপ আমাদের নূতন পরীক্ষেীৰ্ত্তীর্ণ ডাক্তান্ধের কেমন লাগে ; মধ্যাচুে জানলার বাহিরে বাঁ বা করিত, কোথাও সাড় শব্দ নাই, মাঝে মাঝে এক একটা চিল অতিদূর আকাশে শব্দ করিয়া উড়িয়া যাইত ; এবং আমাদের উদ্যান প্রাচীরের বাহিরে খেলেন ওয়াল সুর ধরিয়৷ ‘চাই, খেলেন চাই, চুড়ি চাই করিয়া ডাকিয়া যাইত, আমি একখানি