বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

శిఫిళs जi५-र! । আমার কাছে যেন ভারি অপ্রতিভ । একদিন দেখিলাম তিনি কিছু বেশি রকম সাজসজ্জা করিয়া দাদার কাছে র্তাহার জুড়ি ধার লইলেন রাত্রে কোথায় যাইবেন । আমি আর থাকিতে পারিলার্ম না। দাদার কাছে গিয়া নানা কথার পর জিজ্ঞাসা করিলাম ‘হঁ দাদা, ডাক্তার বাবু আজ জুড়ি লইয়া কোথায় যাইতেছেন ? সংক্ষেপে দাদা বলিলেন, ‘মরিতে। আমি বলিলাম, ‘না, সভ্য করিয়া বল না । তিনি পূৰ্ব্বাপেক্ষ। কিঞ্চিৎ খোলসা করিয়া বলিলেন বিবাহ করিতে। আমি বলিলাম ‘সত্য না কি ? বলিয়া অনেক হাসিতে লাগিলাম। অল্পে অল্পে শুনিলাম এই বিবাহে ডাক্তার বারোহাজার টাকা পাইবেন । কিন্তু আমার কাছে এ ংবাদ গোপন করিয়া আমাকে অপমান করিবার তাৎপৰ্য্য কি ? আমি কি তাহার পায়ে ধরিয়া বলিয়াছিলাম যে, এমন কাজ করিলে আমি বুক ফাটিয়া মরিব ? পুরুষদের বিশ্বাস করিবার যো নাই । পৃথিবীতে আমি একটি মাত্র পুরুষ দেখিয়াছি এবং এক মুহূৰ্ত্তে সমস্ত জ্ঞান লাভ করিয়াছি। - “ডাক্তার রোগী দেখিয়া সন্ধ্যার পূৰ্ব্বে ঘরে অসিলে আমি প্রচুর পরিমাণে হাসিতে হাদিতে বলিলাম কি ডাক্তার মহাশয় । আজ না কি আপনার বিবাহ ! আমার প্রফুল্লত। দেখিয়া ডাক্তার যে কেবল অপ্রতিভ ইলেন তাহা নহে, ভারি বিমর্ষ হইয় গেলেন। জিজ্ঞাসা করিলাম ‘বাজনা বাদ্য কিছু নাই যে ! শুনিয়া তিনি ঈষৎ একটু নিশ্বাস ফেলিয়া বলিলেন— “বিবাহ ব্যাপারটা কি এতই আনন্দের ? শুনিয়া আমি হাসিয়া অস্থির হইয় গেলাম। এমন কথাও ত কখনো শুনি নাই । আমি বলিলাম, সে হইবে না বাজনা চাই, অ’লে চাই ।” দাদাকে এমনি ব্যস্ত করিয়া তুলিলাম যে দাদা তখনি রীতিমত উৎসবের