স্ত্রীপুরুষভেদে অপাধের মুনাধিক্য। ·ඊර්ෂ দের মনে কতকগুলি নিঃস্বার্থ প্রবৃত্তি বরাবর জাগাইয়। রাখিস্থাছে—সুতরাং এই নিঃস্বাৰ্থ ভাবের পরিচালনায় তাহাদের অপরাধ-প্রবণ ও হ্রাস হইয়াছে। অার এক কারণ এই যে স্ত্রীলোকেরা দুৰ্ব্বল, সুতরাং যে সকল অপরাধ বল-সাধ্য তাহ। তাছাদের ক্ষমতার অতীত। কিন্তু অনেক সময়ে স্ত্রীলোকেরা যে সকল অপরাধ বলসাধ্য বলিয়া নিজে করিতে পারে না, তাহা পুরুষদিগকে উষ কাইয়া দিয়া সাধন করে—অথচ স্বয়ং ঐ কার্য্যে লিপ্ত নহে বলিয়া দগু হইতে নিস্কৃতি পায় । ইংলণ্ডে যে সকল জাল জুরাচরি অপরাধে অনেক সন্ত্রান্ত বংশের পুরুষেরা দগুনীয় হয়, অনেক স্থলে স্ত্রীলোকের তাহাতে ভিতরে ভিতরে লিপ্ত থাকে। অনেক সময়ে স্ত্রীদিগের গার্হস্থ্য অপব্যয়িতা, পরিচ্ছদের অপব্যয়িত ও পাড়া প্রতিবাসীদিগের উপর টক্কর দিবার ইচ্ছা হইতে স্বামীরা দুষ্কৰ্ম্মে নীত হয় ও অবশেষে কারাদণ্ড ভোগ করে । যে সকল দেশে স্ত্রীলোকের অপ্রকাশ্যভাবে গৃহের অন্তরালে । অবস্থিতি করে সেখানকার স্ত্রীলোকদিগের অপরাধসংখ্যা অনেক কম । গ্রীস দেশে স্ত্রীলোকদের মধ্যে অপরাধ যে এত কম, ইহাই তাহার একমাত্র কারণ ৷ পক্ষাস্তরে স্কট লণ্ডে স্ত্রীলোকঅপরাধীর সংখ্যা যে বেশি তাহার কারণ, তত্রস্থ স্ত্রীলোকেরা অনেকটা বাহিরের কাজে নিযুক্ত। অত শারীরিক শ্রমের কাজ যুরোপের আর কোন স্ত্রীমণ্ডলীর মধ্যে দেখা যায় না । স্কটস্ত্রীরা মাঠে ঘাটে কারখানায় পুরুষদের সহিত একত্র কাজ করে— স্বীয় জীবিকার জন্য পুরুষদের উপর তত নির্ভর করে না—তfহাদের সামাজিক উদ্যম-চেষ্টা অনেকটা পুরুষদিগেরই মত, কাজেকাজেই তাহাদের অপরাধপ্রবণতাও অনেকটা পুরুষদিগের সমান।
