লোঞ্জিত সমুদ্র । । sss একটা অনাবৃত আলোক-শিখা দেখে দৃষ্টিগুলো যেন কালে কালে পতঙ্গের মত চারিদিক থেকে বাকে বাকে লম্ব দিয়ে পড়ছে। এমন কি অনেকে মুখ ফিরিয়ে ফিরিয়ে তাকে নিরীক্ষণ করছে এবং তাই নিয়ে ঘরের সৰ্ব্বত্র একটা হাস্যকৌতুকের তরঙ্গ উঠেছে। অনেকেই সেই যুবতীর পরিচ্ছদটিকে "ইণ্ডেকোরাস” বলে উল্লেখ করচে । কিন্তু আমাদের মত বিদেশী লোকের পক্ষে তার বেআক্ৰ বেআদবীটা বোঝা একটু শক্ত । কারণ, নৃত্যশালায় এ রকম কিম্বা এর চেয়ে অনাবৃত বেশে গেলে কারো বিস্ময় উদ্রেক করে না । যেখানে সদ্যঃপরিচিত স্ত্রীপুরুষে পরস্পর আলিঙ্গনপাশে নিবদ্ধ হয়ে উন্মত্তের মত নৃত্য করে” বেড়ায় সেখানে ভদ্র কুলস্ত্রীদের শরীর থেকে লজ্জা এবং বসন অনেকটা পরিমাণে উন্মুক্ত করে ফেলা যদি দোষের না হয় তবে এই ভোজনসভাতে আপনার পূর্ণমঞ্জরিত দেহসৌন্দর্য্যের কিঞ্চিৎ আভাস দিয়ে যাওয়া এমনি কি দোষের । কিন্তু বিদেশের সমাজনীতি সম্বন্ধে বেশি উৎসাহের সঙ্গে কিছু বলা ভাল নয়। অামাদের দেশে দেখা যায় বাসরঘরে এবং কোন কোন বিশেষ উপলক্ষে মেয়ের। যেমন অবাধে লজ্জাহীনতা প্রকাশ করে অন্ত কোন সভায় তেমন করলে সাধারণের কাছে দুষ্য হত সন্দেহ নেই। সমাজে যেমন নিয়মের বাধাবাধি থাকে তেমনি মাঝে মাঝে ছুটে একটা ছুটিও থাকে ; নইলে, পাছে চঞ্চল মানবস্বভাব সমাজভিত্তির মধ্যে শত শত গোপন ছিদ্রপথ খনন করে ! ইংরাজিতে যাকে “ফুর্টেশন” বলে আমাদের সমাজে তা প্রচলিত নেই সুতরাং তার কোন নামও নেই, কিন্তু গৃহের মধ্যে এমন অনেকগুলি পরিহাসের স্থল রাখা হয়েছে যেখানে অনেক পরিমাণে সমাজনিয়মের সমাজ