বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২৭৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ॐ२ नtथनौ । পাওয়া গিয়াছে তাহ৷ সন্তোষজনক নহে। আমরা দুরব্যাপী শস্যক্ষেত্রের মধ্যে বাস করিয়া থাকি—আমাদের চতুর্দিকেই শস্যক্ষেত্র, আমরা দেখিয়াছি ধান গম যব প্রভৃতি শস্যের শীষ পরিপক্ক অবস্থায় বাস্তবিকই স্বভাবতঃ উত্তরদিকে হেলিয়া থাকে, উত্তরদাতা ও উ{হার কৃযকদিগের লব্ধ পরীক্ষণফল বিশেষ অভিনিবেশ প্রস্থত নহে ; উত্তরদাতা বলেন “শস্য পরিপকু হইলে যেদিক হইতে বায়ু, প্রবাহিত হয় তাহার বিপরীত দিকেই শীষগুলি হেলিয়া থাকে ” তাহাত থাকিবেই। বাতাস যদি আরও জোরে বহে ত শীৰ্ষগুলি “হেলানর’ চরমোৎকৰ্ষ লাভ করে অর্থাৎ ভূমিসাৎ হয়, কিন্তু বাতাস বহিয়া শীষগুলি হেলিয়া পড়িবার পূৰ্ব্বে তাহার কোন অবস্থায় থাকে তাহাই জ্ঞাতব্য বিষয় । আমাদের অভিজ্ঞতা নিম্নে প্রকাশ করিলাম যতদিন পর্যস্ত শস্যের শীষে দুগ্ধ সমাবেশ না হয়, ততদিন, শীষগুলি ঠিক সোজা থাকে, এমন কি অৰ্দ্ধপরিপক অবস্থাতেও সামান্য বাতাসে তাহারা কোন দিকে হেলিয়া পড়ে না, ক্রমে শীষগুলি যত পাকিয় উঠে তত-তাহারা উত্তর দিকে একটু ঢলিয়া পড়ে, কিন্তু তা এত অল্প যে বিশেষ মনোযোগের সহিত দেখিলেই তাহ ধরিতে পারা যায়। এই অবস্থার পর যদি একটু বাতাস বহে তবে শীষগুলি আর সে ভাবে থাকিতে পারে না ; বায়ুর বিভিন্ন গতিতে তাহার। ভিন্ন ভিন্ন দিকে ঢলিয় পড়ে । উলার উত্তরদা তা বোধ হয় এই শেষ অবস্থা দেখিয়া আপনাদের লিখিয়া থাকিবেন } কিন্তু এই উত্তরাভিমুখের ব্যাখ্যা দেওয়া বড় কঠিন ব্যাপার। তবে আমরা আজকাল কথায় কথায় বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা করিয়া বসি, বিজ্ঞান জ্ঞান থাক বা না থাক (অধিকাংশ স্থলে ন! থাকাতেই) হাচি টিকটিকি হইতে নারদের টেকি পৰ্য্যন্ত সকল অন্ধবৎ বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যার অবতারণা করিয়া তাহাদিগকে অভূতপূর্ব লোমাঞ্চকর ও আর্য্যোচিত করিয়া তুলি—আমরা আশ্চৰ্য্য হই সঙ্গে সঙ্গে পাঠকদিগকেও আশ্চৰ্য্য করি ; সুতরাং আমার বিবেচনা হয় এই তত্ত্বের মধ্যে কিছু বৈজ্ঞানিক যুক্তি আছে এবং তাহা ইলেক্টি সিটি ঘটিত । ইলেক্টি সিটিকরেন্ট যাহা প্রতিনিয়ত উত্তর কেন্দ্রাভিমুখে চালিত হইতেছে তাহারই বলে ধান্যাদির শীষে এ পরিবর্ত্তন ঘটতে পারে কিনা, তাহ বিজ্ঞানবিদ মহাশয়ের বিবেচনা করিবেন। - শ্ৰী দীনেন্দ্রকুমার রায় । মহিষাদল ।