বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/২৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

博物霸 সাধন । একখানা চিঠি লিখিয়া সমস্ত অবস্থা নিবেদন করিয়াছিল । সেই পত্র পাইয় ফকিরের পিতা হরিচরণ বাবু আসিয়া উপস্থিত। কিন্তু, পাড়ার লোক, জমিদার এবং উকীল কিছুতেই দখল ছাড়ে না। এ লোকটি যে ফকির নহে মাখন, তাহারা তাহার সহস্ৰ অকাট্য প্রমাণ প্রয়োগ করিল—এমন কি, যে ধাত্রী মাখনকে মানুষ করিয়াছিল সেই বুড়িকে আনিয়া হাজির করি ল। সে কম্পিত হস্তে ফকিরের চিবুক তুলিয়া ধরিয়া মুখ নিরীক্ষণ করিয়া তাহার দাড়ির উপরে দরবিগলিত ধারায় অশ্রুপাত করিতে লাগিল । х যখন দেখিল, তাহাতেও ফকির রাশ মানে না, তখন ঘোমটা টানিয়া দুই স্ত্রী আসিয়া উপস্থিত হইল। পাড়ার লোকেরা শশব্যস্ত হইয়া ঘরের বাহিরে চলিয়া গেল । কেবল দুই বাপ, ফকির, এবং শিশুর ঘরে রহিল। দুই স্ত্রী হাত নাড়িয়া নাড়িয়া ফকিরকে জিজ্ঞাসা করিল “কোন চুলোয়, যমের কোন দুয়োরে যাবার ইচ্ছে হয়েচে ?” ফকির তাহ নির্দিষ্ট করিয়া বলিতে পারিল ন। সুতরাং নিরুত্তর হইয়। রহিল । কিন্তু ভাবে যেরূপ প্রকাশ পাইল তাহাতে যমের কোন বিশেষ দ্বারের প্রতি তাহার যে পক্ষপাত অাছে এরূপ বোধ হইল না ; আপাতত যে কোন একটা দ্বার পাইলেই সে বঁাচে, কেবল একবার বাহিরিতে পারি

कझे श्ध्न ।

তখন আর একটি রমণীমূৰ্ত্তি গৃহে প্রবেশ করিয়া ফকিরকে প্ৰণাম করিল। ফকির প্রথমে অবাক তাহার পরে আনন্দে উৎফুল্প হইয়া উঠিয়া বলিল “এ যে হৈমবর্তী !” স্ত্রীকে দেখিয়া এত প্রেম তাহার চক্ষে ইতিপূৰ্ব্বে কখন প্রকাশ পায় নাই। মনে হইল মুৰ্ত্তিমতী মুক্তি স্বয়ং আসিয়া উপস্থিত ।