বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩১৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

鄒尊 সাধন । ৰলা হইয়াছে। ভীষ্মপর্বের উল্লেথ মহাভারতের মৌলিক স্তরের অন্তর্গত কি না, সে বিষয়ে অনেকের সন্দেহ আছে। কিন্তু সেটুকু বাদ দিলেও মহাভারতের সময় যে দাক্ষিণাত্য অনার্য্যনিবাস ছিল না, রামায়ণের সময়াপেক্ষ মহাভারতের সময় দাক্ষিণাত্যের অবস্থা যে সমধিক উন্নত হইয়াছিল, তাহা মহাভারত আলোচনা করিলে সহজেই উপলব্ধি হয় । আদিপর্বের অর্জুনবনবাস পৰ্ব্বাধ্যায়ানুসারে মহাবীর অর্জুন গোকৰ্ণতীর্থে (কোঙ্কনে), অপরান্ত প্রদেশস্থ সমস্ত তীর্থ ও পবিত্র আয়তনে গমন করিয়াছিলেন। এতদ্ব্যতীত পশ্চিম সমুদ্রের উপকূলে যে সকল তীর্থ ও পুণ্যায়তন আছে, সেই সমস্ত স্থানও পৰ্য্যটন করিয়া পরিশেষে প্রভাস তীর্থে উপনীত হইলেন । বনপর্বেও (৯১ আঃ) দক্ষিণদিকস্থ তীর্থ ও পবিত্র আশ্রম সকলের নামোল্লেখ কালে গোকৰ্ণ ও শূর্পারকের নামোল্লেখ আছে। ইউরোপীয় পণ্ডিতগণ রামায়ণকে, এমন কি, রামায়ণবর্ণিত ঘটনাকেও মহাভারতের অপেক্ষা আধুনিক বলিতে চাহেন। কিন্তু বাল্মীকির রামায়ণের ভাষা, ছন্দঃ, রচনাপ্রণালী ও “ত্যুক্ত আৰ্য্যকুলের বাস সীমা,” এই কয়টি বিষয় পৰ্য্যালোচনা করিয়া দেখিলে, রামায়ণকে কখনই মহাভারতের পরবর্তী বলিতে পার। যায় না । * রামায়ণে দক্ষিণাত্যের অবস্থা যেরূপ বর্ণিত হইeয়াছে, তাহাতেও রামায়ণের প্রাচীনত্বই প্রমাণিত হয়। সে সময় দক্ষিণাত্য অনার্য্যনিবাস ছিল । রামায়ণের সময়েই আমরা আর্য্যগণকে দাক্ষিণাত্যে প্রবেশ করিতে দেখিতে পাই । কিন্তু তখনও “আৰ্য্যগণ বিন্ধ্যাচল লঙ্ঘন করিয়া দক্ষিণাবর্ত করতলস্থ

  • ভারতবর্ষীয় উপাসক সম্প্রদায় ২য় ভাগ উপক্ৰমণিকা ৮২ পৃঃ দেখ।