পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৫৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

♚ १२ - अtश्रृंना । সাই । ইহার ইতিহাস নাই, আবহমানকাল প্রচলিত প্রবাহ নাই, বহু কালসঞ্চিত রত্নভাণ্ডার নাই, ইহার বিক্ষিপ্ত অংশগুলিকে এথনো এক সমালোচনার নিয়মে বধিবার সময় হয় নাই । সুতরাং ইংরাজি সমালোচনাগ্রস্থ হইতে মুখগহবর পূর্ণ করিয়া লইয়া যখন কোন প্রবল প্রতিপক্ষ ইহার প্রতি মুহুমুহু ফুৎকার প্রয়োগ করিতে থাকেন তখন বঙ্গ সাহিত্যের ক্ষীণ অাশার আলোকটুকু একান্ত কম্পিত ও নিৰ্ব্বাপিতপ্রায় হইয়া আসে। কিন্তু তথাপি বলা যাইতে পারে ফুৎকার যতই প্রবল হৌক শীর্ণ দীপশিখা তাহ অপেক্ষ শ্রেষ্ঠ । বর্তমান বাঙ্গ লা লেখকের বঙ্গসাহিত্যের প্রথম ভিত্তি নিৰ্ম্মাণে প্রবৃত্ত আছেন। সুতরাং যাহার ইংরাজি গ্রন্থস্তুপশিখরের উপর চড়িয়া নিয়ে দৃষ্টপাত করেন তাহার। ইহঁাদিগকে ছোট বলিয়া মনে করিতে পারেন । ইহঁার মাটির উপরে দাড়াইয়া থাটিয়া মরিতেছেন তাহারা উচ্চ চূড়ায় বসিয়া কেবল হাওয়া খাইতেছেন, এরূপ স্থলে উভয়ের মধ্যে সমকক্ষতার ভাব রক্ষা করা দুরূহ হইয় পড়ে। এই দুই দলের মধ্যে যদি প্রকৃত উচ্চনীচত থাকে তবে আর কোন কথাই নাই । কিন্তু তাহার কোন প্রমাণ পাওয়া যায় না। যাহারা শুদ্ধমাত্র পরের চিন্তালব্ধ ধন সঞ্চয় করিয়া জীবন যাপন করেন তাহারা জানেন না নিজে কোন বিষয় জানুপুৰ্ব্বিক চিন্তা করা এবং সেই চিন্তা ভাষায় ব্যক্ত করা কি কঠিন ! অনেক বড় বড় কথা পরের মুখ হইতে পরিপক্ক ফলের মত অতি সহজে পাড়িয়া লওয়া যায় কি স্তু অতি ছোট কথাটিও নিজে ভাবিয়া গড়িয়া তোল! বিষম ব্যাপার । যে ব্যক্তি কেবলমাত্র পাঠ করিয়া শিথিয়াছে, সঞ্চয় কর ছাড়া বিদ্যাকে আর