পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সারসংগ্ৰহ । so স্থানটি রমণীয়। চারিদিকে পৰ্ব্বত, মাঝখানে একটি উপত্যক; বাহিরের পৃথিবীর সহিত কোন সম্পর্ক নাই। ভূমি অত্যন্ত উৰ্ব্বর, মানুষগুলি সরল এবং উদ্যোগী, রাজকর নাই বলিলেই হয়, রাজাকে কেবল বরাদমত পরিশ্রম দিতে হয় । যে শস্য উৎপন্ন হয় আপনারাই সম্বৎসর খায় এবং সঞ্চয় করে, বাহিরে পাঠায় না, বাহির হইতেও আমদানী করে না । অগ্রহায়ণ পোষ মাসে এখানকার দৃশুটি বড় মনোহর হইয়া উঠে। দিন উজ্জল, আকাশ পরিস্কার, বাতাস শীতল ; পাকাধানে শস্তক্ষেত্র সোনার বর্ণ ধারণ করিয়াছে । মেয়েরা শোভন বস্ত্র পরিয়া দলে দলে ধান কাটিতেছে, বলিষ্ঠ পুরুষেরা শস্যের অণটি বহন করিয়া ঘরে লইয়া যাইতেছে । নিকটে গোরুগুলি ধীর গতিতে প্রদক্ষিণ করিয়া ধান মাড়াই করিতেছে, শস্যবিচ্ছিন্ন তৃণ এক পার্শ্বে রাশীকৃত হইতেছে, ধান যখন ঘরে আসিবে তখন সেই তৃণে আনন্দোৎসবের অগ্নি প্রজ্জ্বলিত হইবে । রাজধানীতে সন্ধ্যাবেলায় হাট বসে, সেইটেই দিবসের মধ্যে প্রধান ঘটনা । যতই বেল পড়িয়া আসিতে থাকে পথ হাট লোকে পরিপূর্ণ হইয়া যায়। পুরুষদের নিৰ্ম্মল শুভ্র বসন এবং মেয়েদের নানাবিধ উজ্জলবর্ণের বিচিত্র সজ্জা । মেয়েরাই বিক্রেতা । দেখিতে পাওয়া যায় মাথায় পণ্য দ্রব্য এবং কোলে অথবা পিঠে কচি ছেলে লইয়। তাহার। “সেনা কাইথেল” অর্থাৎ সোনাবাজারে হাট করিভে আইসে, পথ উজ্জল হইয়। উঠে । 鄭 বাজারের কাছে পোলে। খেলিবার মাঠ । সহরের ভাল ভাল খেলোয়াড় এমন কি রাজপুত্ৰগণ সেইখানে প্রায় প্রত্যহ খেল