রেলপথের দুই পাখে। “s তিলমাত্র হস্তক্ষেপ করলে কি আর সহ হয় ? আমরা ত জঙ্গলে থাকি ; খাল বিল বন বাদাড় ভাঙ্গারাস্ত এবং পানাপুকুরের ধারে বাস করি । ক্ষেত থেকে দু’মুঠে। ধান আনি, মেয়ের অ’াচল ভরে’ শাক তুলে নিয়ে আসে, ছেলেরা পাবের মধ্যে নেমে চিংড়িমাছ ধরে’ আনে, প্রাঙ্গণের গাছ থেকে গোটাকতক তেঁতুল পাড়ি, তার পরে শুকনে কাঠকুটু সংগ্রহ করে একবেল অথবা দু’বেলা কোন রকম করে? আহার চলে যায় ; ম্যালেরিয়া এসে যখন জীর্ণ অস্থি কঙ্কাল কাপিয়ে তোলে তখন কথা মুড়ি দিয়ে রৌদ্রে পড়ে থাকি, গ্রীষ্মকালে শুষ্ক প্রায় পঙ্ককুণ্ডের হরিদ্বর্ণ জলাবশেষ থেকে উঠে এসে ওলtউঠা যখন আমাদের গৃহ আক্রমণ করে তখন ওলা দেবীর পূজা দিই, এবং অদৃষ্টের দিকে কোটরপ্রবিষ্ট হতাশ শূন্তদৃষ্টি বদ্ধ করে” দল বেঁধে মরুতে আরম্ভ করি । আমরা কি আমাদের দেশকে পেয়েছি না পেতে চেষ্টা করেছি ? আমরা ইহলোকের প্রতি ঔদাস্য করে’ এখানে কেবল অনিচ্ছুক পথিকের মত যেখানে সেখানে পড়ে’ থাকি এবং যত শীঘ্র পারি দ্রুতবেগে বিশ পচিশটা বৎসর ডিঙ্গিয়ে একেবারে পরলোকে গিয়ে উপস্থিত হই । কিন্তু একি চমৎকার চিত্র । পৰ্ব্বতের কোলে, নদীর ধারে, হ্রদের তীরে পপ্লার-উইলোবেষ্টিত কাননশ্রেণী । নিষ্কণ্টক নিরাপদ নিরাময় ফলশস্যপরিপূর্ণ প্রকৃতি প্রতিক্ষণে মানুষের ভালবাসা পাচ্চে এবং মানুষকে দ্বিগুণ ভালবাস্চে। মানুষের মত জীবের এইত যোগ্য আবাসস্থান । মানুষের প্রেম এবং মানুষের ক্ষমতা যদি আপনার চতুর্দিককে সংযত সুন্দর সমুজ্জল করে না তুলতে পারে তবে তরুকোটর গুহাগহবর বনবাস্ত্রী জন্তুর সঙ্গে তার প্রভেদ কি ? -