বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৯৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

♚९३ जां थून } যাইতে থাকে এবং শরীর এই অভাব পূরণের নিমিত্ত ততই ঘন ঘন রক্ত যোগাইতে থাকে, হৃৎপিণ্ডের স্পনীন বাড়িয়া উঠে এবং রক্তের বেগে শরীর গরম হইয় উঠে ; অবশেষে যখন জীবাণুগুলি ইহাতেও সস্তুষ্ট ন হইয়া মস্তিষ্কের আবশ্যকীয় উপাদানগুলিতেও হস্তক্ষেপ করে তখন তাহারও বিকৃতি ঘটিতে আরম্ভ হয় ; পরিণামে মস্তিক্ষের, স্নায়ুর এবং মাংসপেশীর অত্যস্ত দুৰ্ব্বলতা উপস্থিত হইলে মৃত্যু হয়। আর কিছু না হৌক চিকিৎ সকগণ নীড়স্থ জীবন সঞ্চারক পদার্থ নিঃশেষ হওয়া পৰ্য্যন্ত উপযুক্ত আহার ঔষধ বিধানে শরীরের বল কোন প্রকারে রাখিয়া দিতে পারিলে মানুষ বাচিয়া যাইতে পারে। কিন্তু ইহা ষথেষ্ট নহে। রোগ-জীবগুলিকে মারিয়া ফেলিতে না পারিলে বা উহাদের পরিণতি না বন্ধ করিত্রে পরিলে কোন কাজের চিকিৎসা হইল বলিতে পারা যায় না। যদি এমন কোন পদার্থ রোগীর শরীরে প্রবেশ করান যায় যাহা শরীরের কোন ক্ষতি না করিয়া নীড়স্থ পদার্থ নষ্ট করিয়া ফেলিতে পারে তবেই রোগের পরিণতি বন্ধ করা যাইতে পারে । বসন্তরোগের টীকা দেওয়া এই জাতীয় চিকিৎসা। কতকগুলি অপেক্ষাকৃত নিরীহ জীবাণু শরীরে ঢুকাইয়া, সামান্য পীড়া উপস্থিত করিয়া এই রোগনীড় নষ্ট করিয়া ফেলা হয় । এইরূপ সকল প্রকারেরই রোগনীড় নষ্ট করিবার উপযুক্ত নিরীহ জীবাণু এক্ষণে খোজ; হইতেছে। পাষ্টর নামক খ্যাতনামা রসায়ণশাস্ত্রবিৎ হাইড্রোফোরিয়ার (ক্ষিপ্ত কুকুরের দংশন-জনিত রোগ) এইরূপ নিরীহ জীবাণু আবিষ্কার করিয়াছেন। আশা করা, যাইতে পারে যে কালে সকল প্রকার রোগেরই নিরীহ জীবাণু আবিষ্কৃত হইবে । রোগীর অনিষ্ট না করিয়া রোগ-জীবাণুদের মারিয়া ফেলা