পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৩৯৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

8 সাধন । কৌলিক দোষে যে সব সময়ে অপরাধ-প্রবণতা প্রস্থত হয় তাহাও নহে-উহা অনেকটা ব্যক্তিগত অভ্যাসের ফল। অধ্যাপক বাইস্মান বলেন, অর্জিত অভ্যাস সকল উত্তরবংশে ংক্রামিত হয় না—গ্যাল্টনও ঐ কথা বলেন। আমাদের পূর্বপুরুষদিগের স্বাভাবিক বৃত্তিসমূহেরই আমরা অধিকারী হই, তাহাদের অর্জিত অভ্যাস সকল আমরা লাভ করি না । বাঁশবাজিকরের ছেলে বিন অভ্যাসে বঁাশবাজি কর হয় না – অথবা কুস্তিগির পালোয়ানের ছেলে বিনা শিক্ষায় কুস্তির মার-প্যাচ আদায় করিতে পারে না । চোরের ছেলে সব সময়ে ঘে চোর হইবে এরূপ কোন কথা নাই ; তবে যদি চোর হয় সে। তাহার পিতার কুদৃষ্টান্তে ও সঙ্গদোষে, জন্ম দোষে নহে। সন্তান পিতামাতার অর্জিত বৃত্তির অধিকারী হয় না বটে কিন্তু ইহা সত্য যে র্তাহাদিগের রোগের অধিকারী হইয়া থাকে । আর, রোগের সহিত অপরাধ প্রবণতার যে বিশেষ যোগ আছে তাহা কিছুতেই অস্বীকার করা যায় না। রোগগ্ৰস্ত কিম্বা শারীরিক হীনতা-গ্রস্ত ব্যক্তি অপরাধী হইবেই এরূপ কোন কথা নাই—অনেক স্থলেই হয় না। তবে, এ কথা বলা যায় যে, কোলিক রোগ হইতে যাহারা মুক্ত তাহদের তুলনায় কৌলিক রোগগ্ৰস্ত ব্যক্তিবর্গের মধ্যে অপরাধীর সংখ্যা অধিক । শারীরিক হীনতার পরিণাম-গতি কোন দিকে ? মেজাজ বিগড়াইয়া দেওয়া, ইচ্ছা শক্তিকে হ্রাস করা ও সাধারণতঃ মানসিক সামঞ্জস্ত নষ্ট করা—এই দিকেই কি তাহার স্বাভাবিক গতি নহে ? এই প্রবণতা যে হতভাগ্য ব্যক্তির স্বভাবে বদ্ধমূল হয় সেই অপরাধকার্য্যে লিপ্ত হুইয়া থাকে। বুৰ্ত্তেম্বুর্গ রাষ্ট্রের কারাধ্যক্ষ হের সিথার্ট বলেন যে, অনেক অপরাধীই হীনতা-যুক্ত