পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৪০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সারসংগ্ৰহ । 8 * “আমেরিকার সমাজচিত্র। বিখ্যাত ইংরাজলেখক হ্যামিণ্টন আইডে লিখিতেছেন ৰে যদিও অ্যামেরিকায় আইরিশ হইতে আরম্ভ করিয়া কাফ্রী এবং চিনেম্যান প্রভৃতি বিচিত্র জাতির সমাবেশ হইয়াছে তথাপি তাহাদের মধ্যে একটা স্বভাবের ঐক্য দেখা যায়। যাহার টাকাকড়ি আছে সে অাপন নিবাসস্থান সহরের উন্নতির জন্য যথেষ্ট অর্থব্যয় করা প্রধান কৰ্ত্তব্য বোধ করে । তাহা ছাড়া খাটি মার্কিন বিশ্রাম কাছাকে বলে জানে না ; একদণ্ড স্থির থাকিতে হইলে তাহার প্রাণ ওষ্ঠাগত হইয়া যায় । নিজের কাজই করুকৃ বা সাধারণের কাজেই লিথ থাকুক প্রাণপণ খাটুনির ক্রটি নাই। চিকাগে। সহর একবার আগুন লাগিয়া ধ্বংশ হইয়া গেল আবার দেখিতে দেখিতে কয়েক ৰৎসরের মধ্যে এমনি কাণ্ড করিয়া তুলিল যে আজকাল অত বড় সহর মুলুকের মধ্যে আর দ্বিতীয় নাই। ইংরাজ যেখানে হতাশ্বাস হইয়া নিরস্ত হয়, মার্কিন সেখানে কিছুতেই দমে না। ব্যবসায়ে একবার যথাসৰ্ব্বস্ব খোওয়াইয়া পুনৰ্ব্বার নবোদ্যমে অ ৰ্থসঞ্চয় আমেরিকায় প্রতিদিন দেখা যায়। ইহার হাল ছাড়িয়া দিবার জাত নয়। ইংরাজের একান্ত অধ্যবসায় দেখিয়া আমাদের তাক লাগিয়া যায়, ইংরাজ আবার আমেরিকার অপ্রতিহত উদ্যম দেখিয়া ধন্য ধন্য করিতেছে । , কিন্তু লেখক বলেন, অবিশ্রাম কাজ করিয়া ইহারা যে সুধী আছে তাহ বলা যায় না । পুরুধদের মধ্যে অতিরিক্ত শ্রমের পর শ্রান্তি এবং মেয়েদের মধ্যে নিয়ত চাঞ্চল্য ও পরিবর্তনপ্রিয়তাকে সুখের অবস্থা বলা যায় না। আমেরিকায় দেখা