পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৪৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

} భీ సీ সাধন । কণাগুলির জ্যোতিৰ্ম্ময় অবস্থা প্রাপ্তির জন্য অবশ্যক চিমনি বসাইলে তাহ। অপেক্ষ অধিক বায়ু দীপশিখার নিকট যাইতে পরে না । এই জনাই চিমনি বসাইতে দীপশিখা নিধুম ও উজ্জ্বলতর হয়। কিন্তু চিমনি ফাট থাকিলে অথব৷ বায়ু প্রবল বেগে এবাহিত হইতে থাকিলে চিমনি থাক। সত্ত্বেও দীপশিখ হইতে ধুম উখিত হইতে দেখা যায় কারণ তাহাতে চিমনির ভিতরে অধিক বায়ু প্রবেশ করে ও বায়ুস্থিত অবসিজেন প্রভাবে অঙ্গীরকণাগুলি জ্যোতি শ্ময় না হইয়া একবারে পুড়িয়া গিয়া অঙ্গারকে বাম্পে পরিণত করে । তাহাঁতেই ধূম উঠিতে থাকে। ইহা হইতে আরও একটা তত্ত্ব এই পাওয়া যাইতেছে যে দীপশিখায় অধিক বায়ু লাগিলে দাহ পদার্থ শীঘ্র পুড়িয়া নিঃশেষ হইয়৷ যায়। খোলা লাম্প অপেক্ষা চিমনিযুক্ত ল্যাম্পে যে কম তৈল পুড়ে ইহাই তাহার প্রধান কারণ । শ্ৰীসখারাম গণেশ দেউস্কর। বাবু জগদানন্দ রায়ের দ্বিতীয় প্রশ্নের উত্তর । স্বৰ্য্য ও চন্দ্রের আকার উদয় ও অস্তকালে বৃহত্তর দেখায় কেন ? এই প্রশ্নের নানা লোকে নানা উত্তর দিয়া থাকে কিন্তু উহার প্রকৃত উত্তর সম্বন্ধে বৈজ্ঞানিক মহলে কোন মতভেদ নাই। উদয় ও অন্তকালে এবং অন্য সময়ে আয়তনের যে হ্রাস বৃদ্ধি লক্ষিত হয় তাহ মনের ভ্রম মাত্র । উপযুক্ত যন্ত্রের দ্বারা চক্ষুকে সাহায্য করিলে দেখিতে পাওয়া যায় যে, বাস্তবিক আয়তনের কোনই তফাৎ হয় না । মনের এইরূপ ভ্রম হওয়া যদি কাহারও অসস্তব বলিয়া বোধ হয় তাহা হইলে তিনি নিম্নলিখিত উপায় সহজেই সন্দেহ দূর করিতে *it८ब्रन ! w - শাদ জমির উপর যদি তিনি একটি কালে চৌকোন দাগ করেন এবং কালো জমির উপর ষদি একটি অমুরূপ শাদা দাগ করেন জাহা হইলে দুই দাগ মাপিয়া ঠিক সমান করিলেও শাদা দাগটির আয়ন অধিক বলিয়া প্রতীয়মান হইবে । চন্দ্র সুর্য্য সম্বন্ধে এইরূপ মনের ভ্রম হইবার কারণ এই যে, উদয় এবং অস্তের সময়ে উহার ঘর বাড়ি গাছ পালার কাছাকাছি থাকে-আমরা উহাদের পাথিৰ জিনিষের সহিত তুলনা করিয়া আয়তন স্থির করি। তাহার পর যখন শূন্যে উঠিয় পড়ে তখন উহাদের সহিত তুলনা করিবার আর কিছুই থাকে না । অসীম আকাশে যে উহাদের অপেক্ষাকৃত ক্ষুদ্র মনে হইবে তাহাতে । আর বিচিত্র কি ? শ্ৰীস্বরেন্দ্রনাথ ঠাকুর ।