বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৪৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সহস্ৰ কৰ্ত্তব্য আছে; গৃহ, পরিবার, সেই কৰ্ত্তব্যের আনন্দ-অধসৱ, বিশ্রামভূমি মাত্র। কন্যা হইলে তাহার জন্য পুষ্পশয্যা রচনা করিয়া সযত্নে ঢাকিয়া রাখিও, কিন্তু পুত্রের জন্য কণ্টকশয্যা চাৰি কৰ্ম্মক্ষেত্র চাহি । অষ্টবৰ্ষ পরে আমি আবার ফিরিয়া আসিব, তোমার যদি পুত্রসন্তান হয়, তাহা হইলে তাহাকে লইয়। আবার কৰ্ম্মক্ষেত্রে যাইব । আর দেখিও, আমি চলিয়া গেলে তোমার বৃদ্ধ শ্বশুরকে যেন সমধিক যত্ন করিও।” রোস্তম এই কথাগুলি একটু দৃঢ়স্বরে রুক্ষভাবে বলিলেন। রোস্তমের হৃদয় যে সম্পূর্ণ অবিচলিত ছিল তাহ নছে, তবে বীর হইয়া, পুরুষ হইয়া স্ত্রীর নিকটেও হৃদয়ের কোমলতা প্রকাশ করিতে তিনি একটু কুষ্ঠিত, লজ্জিতও বটে । হৃদয়ের প্রকৃত ভাব গোপন করিতে গিয়া আমরা ছদ্ম ভাবকে প্রায়ই অতিরিক্ত মাত্রায় বাড়াইয়া তুলি। তাহমিনা উঠিয় দাড়াইলেন। অভিমানভরে কহিতে লাগিলেন—“তোমাদের প্রবৃত্তি তোমাদিগকে ষে দিকে টানিয়া লইয়া যায় সেই তোমাদের কৰ্ত্তব্যপথ, আর তোমরা আমাদিগকে গলায় রজ্জ দিয়া যে দিকে টানিয়া লইয়া বাইবে আমাদের কৰ্ত্তব্য-পথ সেইদিকে। তা যদি সেই বন্ধনে প্রাণ কণ্ঠাগত হইয়া জালে তবু একটি কথা কহিবার যে নাই, তাহা হইলে তোমাদের কৰ্ত্তব্য-পথে বাধা পড়ে !” - - অন্ধকারে আকাশ আচ্ছন্ন করিয়া সন্ধ্যা হইয়া আসিলে অস্তঃপুররক্ষক আসিয়া সম্বাদ দিল যে গ্রন্থানের সমস্ত আয়োজন ছইয়াছে, অশ্ব সজ্জিত হইয়া দ্বারদেশে অপেক্ষা করিতেছে। . রোস্তম উঠিলেন। স্বীয় বাহু হইতে স্বনামখোদিত একটি