পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৫২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

gगtद्भाँव ७ ८द्भtरgञ ! εκ. অথচ তেজস্বী এক যুবক উপেক্ষাভরে লতিকার নায় ঈষৎ হেলিয়া দণ্ডায়মান। রোস্তম একদৃষ্টে, স্নেহপূর্ণ নয়নে যুবকের দিকে অনেকক্ষণ চাহিয়া রহিলেন । তাহার কিশোর মুনার মুখ দেখিয় তাহার অন্তরে বাৎসল্য জাগিয়া উঠিল। রোস্তম হাত তুলিয়া ধীরে ধীরে কছিলেন, “বৎস! যুদ্ধ হইতে নিরস্ত হও । আমার পুত্র নাই, তুমি আমার পুত্র হইয়া মৃত্যুকাল পর্য্যন্ত অামার সঙ্গে সঙ্গে থাক ?” - প্রভাতের সমীরণস্পর্শে পত্রোপরি শিশিরবিন্দু যেরূপ টলমল করিয়া উঠে, রোস্তমের কথা শুনিয়া সোরাবের অন্তরে সেইরূপ অস্পষ্ট একটা ভাব কম্পিত হইয়া উঠিল । তিনি রোস্তমের পদতলে নতজানু হইয়া, রোস্তমের দুই হাত বজ্র মুষ্টিতে চাপিয়া ধরিয়া কম্পিত স্বরে কছিলেন, “বল, সত্য করিয়া বল, তুমি কে ? তুমি কি রোস্তম ?” রোস্তম ভাবিলেন যে তাহার নাম শুনিলে, নানা ছল বাহির করিয়া সোরাব আর যুদ্ধ করিবে না। পরাজয় স্বীকার না করিয়া, তাতারে ফিরিয়া গিয়া সকলের নিকটে সাহঙ্কারে বলিবে-“আমি পারসীক বীরদিগকে দ্বন্দ্বযুদ্ধে আহবান করি। ভয়ে কেহই অগ্রসর হইল না, কেবল রোস্তম যুদ্ধে সন্মত হইলেন। অবশেষে পরস্পরে বন্ধুত্ব স্থাপন করিয়া যুদ্ধ আর হইল না।” এই ভাবিয়। রোস্তম সজোরে হাত টানিয়া লইয়া দূরে সরিয়া গেলেন। সোরাবের মুখের উপর তীব্র দৃষ্টি রাথিয় রুক্ষস্বরে বলিলেন, “আমি রোস্তম কি কে তাহা জানিয়া তোমার লাভ কি ? তুমি কি কেবল রোস্তমের সহিত যুদ্ধ করিতে চাহ ! রোস্তম্ব এখানে থাকিলে তোমাকে আর যুদ্ধ করিতে হইত না, তাহার মুখের দিকে চাহিয়া