সোরাব ও রোস্তম । ৬.৪ % সোরাবের কথা শেষ ন হইতে, রোস্তম উঠিয়া ভূষি হইতে প্তাহার ধূলি-মলিন বল্লম তুলিয়া জানিলেন। প্রদীপ্ত অঙ্গারের ন্যায় তাহার নেত্ৰ জলিতে লাগিল । দন্তে দত্ত্বে বর্ষণ করিয়া তিনি বলিলেন, “বালক । সাদর সম্ভাষণে তুমি আমাকে ভুলাইতে চাহ ” এই বলিয়া রোস্তম বল্লম তুলিয়া ধরিলেন । সেরাবও খাপ হইতে তরবারি খুলিলেন, স্বৰ্য্যালোকে ৰক্মক্ করিয়া উঠিল। তৎপরে আঘাতের পর আঘাত উভয়ের অঙ্গে বর্ধিত হইতে লাগিল । রোস্তম বল্লম দ্বারা সোরাবের বৰ্ম্মে মাঘাত করিলেন, বৰ্ম্মের খানিকটা ভিন্ন হইয়া গেল । সোরাবও তরবারি দ্বারা রোস্তমের শিরস্ত্রাণে আঘাত করিলেন, শিরস্ত্রাণ খসিয়া ভূমিতে পড়িয়া গেল । ভীমকাস্তির উপর কোমল শুভ্রতা অর্পণ করিয়া রোস্তমের ধবল কেশ দেখা দিল---রোস্তম লজ্জায় মাথ৷ হেঁট করিলেন। রোস্তমের আসন্ন বিপদ দেখিয়া রুক্শ এই সময়ে বিকট চীৎকার করিয়া উঠিল—সেই শব্দে নদীর জল কঁাপিতে লাগিল । মেঘ আসিয়া স্বৰ্য্যকে ঢাকিল ; জলে কালে ছায়া পুড়িল, কিন্তু যুদ্ধ তবুও থামিল না । রোস্তম অনেকক্ষণ কিছুই বলিলেন ন, কে বল আপন মনে গুমরিতে থাকিলেন। পরে দেহের সমস্ত রুদ্ধ শক্তির বেগে ‘রোস্তম” বলিয়া বজধ্বনিতে চীৎকার করিয়া উঠিলেন। এই নাম শুনিয়া সোৱাব রোস্তমের মুখের দিকে চাহিয়৷ মুহূৰ্ত্তকাল প্রস্তরমূৰ্ত্তির ন্যায় স্তন্ধ হইয়া গেলেন। হাত হইতে ফলক পড়িয়া গেল । অবসর দেখিয়া রোস্তম শাপিত অস্ত্র সোল্লাবের বক্ষে বিদ্ধ করিলেন। সোরাব বক্ষবিন্ধ অসি বাম হস্তে ধরিয়া বালুকার । উপর পড়িয়া গেলেন । , , , , ' । । ८ १.’
