পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৭৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

• সাধন { সংগ্রাম করিয়া শিক্ষা করিতে হইত, এখন তাহার অধিকাংশ বিন বিপদ ও চেষ্টায় বিদ্যালয়ে পাওয়া যায়। দ্বিতীয়তঃ অবিশ্রাম যুদ্ধবিগ্রহ প্রভৃতি নিবারিত হইয়া স্ত্রীপুরুষের মধ্যে ক্রমশঃ প্রকৃতির সামঞ্জস্য হইয়া আসিতেছে । কিন্তু সভ্যতার একটি লক্ষণ এই, উত্তরোত্তর কৰ্ত্তব্যের ভাগ। কুঁড়ি যত ফুটিতে থাকে তাহার প্রত্যেক দল ততই স্বতন্ত্র হইয় আসে । সভ্যতার উন্নতি অনুসারে স্ত্রীলোকের কর্তব্যও বাড়িয়া উঠিয়৷ তাহাকে পুরুষ হইতে পৃথক্ করিতে থাকিবে। অনেক পশু জন্মদান করিয়াই জননী কর্তব্য হইতে অব্যাহতি পায় । কিন্তু । মনুষ্যমাত বহুকাল সস্তানভার ত্যাগ করিতে পারেন না। অসভ্য অবস্থায় সন্তানের প্রতি মাতার কৰ্ত্তব্য অপেক্ষাকৃত লঘু ও ক্ষণস্থায়ী। যত সভ্যতা বাড়িতে থাকে, যতই মানুষের সম্পূ: র্ণতা পরিস্ফুট হইতে থাকে, ততই “মানুষ করা” কাজটা গুরুতর হইয়া উঠে। প্রথমে যাহা বিনা শিক্ষায় সম্পন্ন হইতে পারিত এখন তাহাতে বিশেষ শিক্ষার অবশ্যক করে । অতএব মানুষ • যতই উন্নত হইয়া উঠিতে থাকে মাতার কৰ্ত্তব্য ততই গৌরবজনক এবং শিক্ষাসাধ্য হইয়া উঠে। তাহার পর, ধিনি জননী হইয়াছেন, জননীর স্নেহ, জননীর সেবাপরায়ণতা, জননীর শিক্ষা বিশেষ করিয়া লাভ করিয়াছেন তিনি কি সস্তান যোগ্য হইবামাত্র সে গুলি বাক্সয় তুলিয়া রাখিয়া নিশ্চিন্ত হইতে পারেন। র্তাহার সেই সমস্ত শিক্ষা তাহার সেই সমস্ত কোমল প্রবৃত্তির নিয়ত চর্চা ব্যতীত তিনি কি চরিতার্থতা লাভ করিতে পারেন ? এই জন্য তিনি স্বতই তাহার স্বামী ও পরিবারের জননীপদ গ্রহণ করেন—ইহা তাহার জীবনের স্বাভাবিক গতি । এবং