বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাধনা (প্রথম বর্ষ, প্রথম ভাগ).pdf/৭৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

२२ ।। সাধনা। এবং রান্না বাড়ন করুক, আমরা সে কাজগুলাকে আধ্যাত্মিক আখ্যা দিয়া তাহাদিগকে সাস্তুলা দিব এবং শিক্ষা স্বাস্থ্য ও সুখ সস্থানের পরিবর্তে দেবী উপাধি দিয়া তাহাদিগকে বিনামূল্যে ক্রয় করিয়া রাখিব। কাৰ্ত্তিক। কাৰ্ত্তিক মাসের সাহিত্যে"হিন্দুজাতির রসায়ণ” একটি বিশেষ উল্লেখযোগ্য প্রবন্ধ। এই প্রবন্ধে অনেকগুলি প্রাচীন রাসায়ণিক যন্ত্রের বর্ণনা প্রকাশিত হইয়াছে। এই সংখ্যায় বিদ্যt. সাগর মহাশয়ের আত্মজীবনচরিতের কয়েক পৃষ্ঠা বাহির হই । য়াছে । ইহাতে অলঙ্কারবাহুল্য বা আড়ম্বরের লেশমাত্র নাই। । পূজনীয় লেখকমহাশয় সমগ্র গ্রন্থটি শেষ করিয়া যাইতে পারেন । নাই বলিয়া মনে একান্ত আক্ষেপ জন্মে। এই গ্রন্থ সম্পূর্ণ ছইলে বাঙ্গালীদের পক্ষে শিক্ষার স্থল হইত। প্রথমতঃ একটি অঙ্কত্রিম মহত্ত্বের আদর্শ বঙ্গসাহিত্যে চিরজীবন লাভ করিয়া বিরাজ করিত, দ্বিতীয়তঃ আপনার কথা কেমন করিয়া লিখিতে হয়। বাঙ্গালী ত’হ শিখিতে পারিত। সাধারণতঃ বাঙ্গালী লেখকের নিজের জবানী কোন কথা লিখিতে গেলে অতিশয় সহৃদয়ত। প্রকাশ করিবার প্রাণপণ চেষ্টা করিয়া থাকেন—হায় হায় মরি। মরি শব্দে পদে পদে হৃদয়াবেগ ও অশ্রুজল উদ্বেলিত করির তোলেন। “আত্মজীবনচরিত” যতটুকু বাহির হইয়াছে তাহার: মধ্যে একটি সংযত সহৃদয়তা এবং নিরলস্কার সত্য প্রতিভাত । হইয়া উঠিয়াছে। স্ত্রীজাতির প্রতি লেখকমহাশয় যে ভক্তি প্রকাশ । করিয়াছেন তাহ কেমন সরল সমূলক ও আকৃত্রিম। আজকাল যাহারা স্ত্রীজাতির প্রতি আধ্যাত্মিক দেবত্ব আরোপ করিয়৷ ৰাক্চাতুরী প্রকাশ করিয়া থাকেন তাহাদের সহিত কি প্রভেদ !