বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাবিত্রীচরিত কাব্য.pdf/১৩৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

ষষ্ঠ সৰ্গ । ১২৯ হেন রসাভাষে এবে যুবক-দম্পতি ক্রমে করে মুগভীর অরণ্যেতে গতি । নানাবিধ ফলে পাত্র করিয়া পুরণ, পত্নী-করে সত্যবান করে সমপৰ্ণ । বদ্ধ-পরিকর যুবা, ইন্ধনের তরে, লইয়া কুঠার, উঠে মহীৰুহ-পরে । সহসা বিটপী হতে নামি ভূমি-তলে, আকুল-বচনে যুবা সাবিত্রীরে বলে,— “ ধর ধর প্রিয়ে ! মোরে, অবশ শরীর, রশ্চিক-সহস্ৰ যেন দংশে মোর শির । ” শুনি পতিপ্রাণী সতী উঠিল শাহরি, হৃদয় দাৰুণ ভয়ে কঁ পে থর থরি, নয়নে অমনি দুখ-বাষ্প-বিন্দু ঝরে, নিমেষে ফিরায়ে মুখ সে ভাল সম্বরে । ধরিয়া ত্বরায়, বলে সতী সফডনা,— “ বিশ্রামে ক্ষণেক নাথ ! ঘুচিবে ষাভন । হইয়াছে আজি তব সমধিক শ্রম, শীতল প্রদোষ-বাতে হবে গত-কুম । ” এত বলি, তৰু-তলে পাতিয়া অঞ্চল, শোয়াইয়া কোলে পতি, ফেলে অখিজল ; পত্নী-অঙ্কে সত্যবান বিচেতন প্রায় ; যেন শব শায়িত রে কুসুম-শয্যায় ।