পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/১৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মহাত্মা স্নাজ রামমোহন রায় । । S\s SBBB tHtE DBB BuDuJ DuuDu DDKS DKEDBDB DBBBD DOS তখন ১৮২২ সালে তিনি নিজের ব্যয়ে নিজের মনের মত ইংরাজী শিক্ষা দিবার জন্য একটি ইংরাজী স্কুল স্থাপন করিলেন এবং প্রধানতঃ নিজের ব্যয়ে চালাইতে লাগিলেন। ১৮২৩ সালে গবৰ্ণরজেনারেল লর্ড আমহাষ্টের গবর্ণমেণ্ট একটি শিক্ষা কমিটি করিয়া তাহদের হস্তে কলিকাতাতে একটি ংস্কৃত কলেজ স্থাপনপূর্বক প্ৰাচ্য শিক্ষা বিস্তারের ভার দিলেন। তখন রামমোহন রায় স্থির থাকিতে পারিলেন না। গবৰ্ণমেণ্টের প্রাচ্য নীতির ভ্ৰম প্ৰদৰ্শন করিয়া ও ইংরাজী শিক্ষা বিস্তারের প্রয়োজনীয়তা প্ৰতিপন্ন করিয়া গবৰ্ণর জেনারেলকে এক পত্ৰ লিপিলেন । এই রূপে তেঁাহার সাধ্যে যতটুকু ছিল করিতে অবশিষ্ট রাখিলেন না। ধৰ্ম্ম সংস্কাররের চেষ্টাতে প্ৰবৃত্ত হইয়া কি করিয়াছিলেন তাহার ত কথাই নাই । ১৬ বৎসর বয়সের সময় যে পতাকা উড়ন্তীন করিলেন মৃত্যুর দিন পৰ্যন্ত তাহা উদ্ভট্টীন রাশিতে ক্ৰটি করেন নাই। ইহাকেই তঁহার জীবনের সর্বপ্রধান কাৰ্য্য করিয়াছিলেন । ইহার জন্যই উপনিষদের অনুবাদ, ইহার জন্যই আত্মীয় সভা স্থাপন, ইহার জন্যই বাইবেলের অনুবাদ, ইহার জন্যই খ্ৰীষ্টীয় পাদৱীদিগের সহিত বাগযুদ্ধ, ইহার জন্য খ্ৰীষ্টীয়দিগের প্রতি নিবেদন, ইহার জন্যই ইউনিটেরিয়ান কমিটী সংগঠন, ইহার জন্যই এডাম সাহেবের উপাসনালয় স্থাপন, অবশেষে ইহার कछई ১৮২৮ সালে ব্ৰহ্মসভা স্থাপন, তাহার গৃহ নিৰ্ম্মাণ, সেই গৃহ ট্রষ্টীহস্তে অর্পণ, ও ১৮৩৯ সালের জানুয়ারী মাসে তাহাতে ব্ৰহ্মোপাসনা প্রতিষ্ঠা। কোনও কাজে হাত দিয়া তিনি আধখানা করিয়া ক্ষান্ত হন নাই। তৎপরে যেমন তাহার ঈশ্বরে অবিচলিত বিশ্বাস ছিল তেমনি মানবের । প্রতি উদার প্রেম ছিল। বরং ইহা বলা যাইতে পারে যে, ঈশ্বর-শ্ৰীতি অপেক্ষা মানৰ গ্ৰীতিই অধিক পরিমাণে তঁহার কাৰ্য্যের চালক ও পোষক ছিল।