পাতা:সাহিত্য-রত্নাবলী - শিবনাথ শাস্ত্রী.pdf/৭২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাধুদের সাক্ষ্য। সকল দেশেই ও সকল যুগেই এমন কতকগুলি মানুষ দেখা দিয়াছেন, বাহারা অপর দশজনকে পরমার্থে প্ৰবৃত্ত করিয়াছেন । ইহাদের কথা শুনিয়া লোকে মনে করিয়াছে, কৈ মানুষের মুখে ত সচরাচর এমন কথা শোনা যায় না । সেই পুরাতন তত্ত্ব, সেই পুরাতন কথা, অথচ ইহাদের মুখ হইতে সেই কথাগুলি নুতনভাবে ও নূতন শক্তিসম্পন্ন হইয়া বহির্গত হইয়াছে। এই যে প্রাচীনে নুতন ভাব, ইহার এক অপূৰ্ব্ব আকর্ষণ, ইহা ইহাদের সকলের উক্তিতেই দৃষ্ট হইয়াছে। তাহার ফল স্বরূপ শত শত নরনারীর হৃদয় ইহাদের দিকে আকৃষ্ট হইয়াছে ; দলে দলে লোক ইহাদের অনুগমন করিয়াছে।। জগতের রাজনীতির প্রতি দৃষ্টিপাত করিলে যেমন জাতি সকলকে নানা রাজ্যে ও নানা শাসনতন্ত্রে বিভক্ত দেখা যায়, এক এক দেশ এক এক রাজার শাসনাধীন, সেইরূপ ধৰ্ম্ম সম্বন্ধেও মানবকুলের অনেক রাজা দেখিতে পাওয়া যায়, সমগ্ৰ মানব-সমাজ এই বিভিন্ন রাজাদিগের অধিকারভুক্ত ও লোকে ইহাদের শাসনাধীন। মানব-কুলের এই রাজার সিদ্ধ পুরুষ। সিদ্ধ পুরুষ ৰালিলে অনেক লোকে এই বুঝে যে, তাহারা তামাকে সোপা করিতে পারেন, বা অপর কোনও অলৌকিক ও অতিনৈসৰ্গিক ক্রিয়া করিতে পারেন। কিন্তু সিদ্ধ পুরুষের অর্থ আমি আর এক প্রকার বুঝিয়া থাকি। যাহারা সাধনাগুণে পারমার্থিক সত্যের সাক্ষাৎকার লাভ করিয়াছেন, তাহারাই সিদ্ধ পুরুষ। সত্যের সাক্ষাৎকার বলিলে কি বুঝায় ? তাহা দুইটী দৃষ্টান্তের বারা প্ৰদৰ্শন করিতেছি। সকলেই ইহা প্ৰতিদিন দেখিতেছেন দূরে কোনও শব্দ হয়, মানুষ তাহা শুনে । কিরূপে শোনে ? শব্দ রহিল।