বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৪৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

বংশ-পরিচয় ; বাল্য-জীবন ግ পুরবাসিনীদিগের অনুকরণে, বাবা মা দাদা প্রভৃতি আত্মীয়ুদিগের উদ্দেশে কৃত্রিম পত্র লিখিতাম ।...আমার দাদা স্ত্রী-শিক্ষার অনুরাগী ছিলেন।. আমার সধবা ভ্রাতৃজায়া ‘বামাবোধিনী'র গ্রাহিকা ছিলেন । উক্ত । পত্রিকায় বামা রচনা দেখিয় তাহারাও গদ্য-পদ্য রচনা করিষ্ঠেন ৷ এই সব দেখিয়া আমারও রচনা” করিতে মনে মনে বড়ই ইচ্ছা হইত |- - - আমি চাদের জ্যোৎস্নায় বসিয়া উপকথা রচনা করিয়া খাতায় লিখিতাম ।... পদ্য বা গন্থ অর্থাৎ উপকথা যাহা লিখিতাম, কাহাকেও দেখাইতাম না,...তাহার ভিতর রচনার দুইটি ছত্র মাত্র আমার স্মরণ আছে, তাহা এই :– “রাখ রাখ সবে ভাই বচন আমার, ঈশ্বরের পদে কর কর নমস্কার ” গদ্য রচনারও একটু নমুনা দিলাম ; “এক রাজ-কন্যার বারাণ্ডায় এক বাক পার্থী আসিয়াছিল, তাহার মধ্য হইতে রাজ-কন্যা একটি পার্থী ধরিয়াছিলেন ; তাহার গায়ের রং লাল, সবুজ, হলুদে, আর কালো ; এমন সুন্দর পার্থী কেহ কখনও দেখে নাই ; তাহাকে দেখিতে ঠিক যেন একটি বাদুড় ” এই রচনা দেখিয়া আমার ভ্রাতৃজায়াদ্বয় হাসিয়া গড়াগড়ি দিয়াছিলেন, আমি ভয়ানক অপ্রতিভ হইয়াছিলাম ; সৌন্দর্ঘ্যের শেষ উপমেয় “বাদুড়” হওয়া যে এত হাসিবার কথা তাহা আমি মোটেই বুঝি নাই, কারণ “বাদুড়” আমি তখন মোটেই দেখি নাই ।”