বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য ও সমাজ-সেবা > * ইংরাজী হস্তাক্ষর বামাবোধিনী-সম্পাদক মহাশয়কে পাঠাইয়াছিলাম, আর যে দিন টীকা দেখিয়া কুমারসম্ভব পড়িতে পারিয়াছিলাম, সেই দিন ঐ মহাশয়স্বয় যেরূপ আনন্দ প্রকাশ করিয়াছিলেন তাহা আমার চিরস্মরণীয়। মানবের মাতৃ-পিতৃ-স্নেহখণ যেমন অপরিশোধনীয়, ঐ দুই আরাধ্যতমের স্নেহের ঋণও আমার সেইরূপ অপরিশোধ্য ... বলিয়াছি, বামাবোধিনী, নব্যভারত প্রভৃতি মাসিকপত্রে আমি কবিতা লিখিতাম। পূজনীয় কবিরত্ব মহাশয় স্বেচ্ছাপ্রবৃত্ত হইয়া সেই সকল সংগ্রহপূর্বক কাব্যকুসুমাঞ্জলি নাম দিয়া পুস্তকাকারে প্রকাশ করেন। তিনি স্বয়ং উহার বিজ্ঞাপন লিখিয়া দেন । ইহার পরে স্নেহময় কবিরত্ব মহাশয়ের আগ্রহ ও অতু গ্রহে আমার ‘কনকাঞ্জলি’ ‘প্রিয়-প্রসঙ্গ’ (২য় ংস্করণ), বীরকুমার-বধ কাব্য’ জনসমাজে প্রকাশিত হইয়াছে । বামাবোধিনীর ত্রিশ বৎসর বয়সেও এক জুবিলী হইয়াছিল, আমি তাহাতে বিজ্ঞাপনাকুসারে “বিগত শতবর্ষে ভারত-রমণীদিগের অবস্থা”শীর্ষক এক সুদীর্ঘ প্রবন্ধ লিথিয়াছিলাম। সুবিখ্যাত ঐতিহাসিক রজনীকান্ত গুপ্ত মহাশয় তাহার পরীক্ষক ছিলেন ; সে বারেও আমি কয়েক জন পুরুষ ও রমণীর সহিত প্রতিযোগিতা-পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হইয়। পঞ্চাশ টাকা পুরস্কার প্রাপ্ত হই । যাহারা দেশ-হিতৈষী, নারী-হিতৈষী এবং সমাজ-শিক্ষক, তাহাদিগকে আমি মনে মনে গভীর ভক্তি করিতাম। বরিশালের শ্রদ্ধেয় অশ্বিনীকুমার দত্ত মহাশয়ের ‘ভক্তিযোগ’ পড়িয়া অবধি প্রত্যহ প্রত্যুষে তাহার উদ্দেশে প্রণাম করিতাম । দয়ার সাগর বিদ্যাসাগর মহাশয়কে আমি জীবনে কথনও না দেখিলেও তাহাকে একান্ত আত্মীয়ের ন্যায় ভক্তি করিতাম ।• • • এই বঙ্গদেশে যাহারা সমাজ-শিক্ষকরূপে পরিগণিত,-যাহারা ধৰ্ম্মবেত্তা, নীতিবেত্ত, বৈজ্ঞানিক, দার্শনিক, ঐতিহাসিক এবং সুকবি, র্তাহাদের