পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/২৯৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

প্রফুল্লময়ীর স্মৃতিকথা * > পঞ্জাবে আর্য্যসমাজের সহিত আমাদের ব্রাহ্মসমাজের মধ্যে যাহাতে মিলন স্থাপন হয়। সেই জন্ত তাহার প্রাণের প্রবল ইচ্ছা ছিল এবং তাহারই জন্ত বলু আৰ্য্যসমাজে যাতায়াত করিতে থাকে, তাহারাও তাকে প্রাণের সহিত ভালবাসিতেন । র্তাহাদের মধ্যে যদি কখনও বিবাদ উপস্থিত হইত, তাহা হইলে বলুকে মীমাংসা করিয়া দিবার জন্ত আহবান করিতেন, এবং সে গিয়া তাহদের মধ্যে বিবাদ মিটাইয়। মিলন স্থাপন করিয়া আসি ত । তাহার এই ইচ্ছা পূর্ণ করিবার স্বযোগ অা জীবনে ঘটিয়া উঠিল না । দ্বিতীয় বার যখন সে তাঙ্গদের টেলিগ্রাম পাইয়া চলিয়া ষায় { মাঘ ১৩০৫ ], সেই দিন আমার মেজ জায়ের কস্তা ইন্দিরার ফুলশয্য। সেই জন্য সকলেই তাকে যাইতে বারণ করিলেন, কিন্তু তাহাদের টেলিগ্রাম পাওয়াতে পাছে কৰ্ত্তব্যের অবহেলা হয় বলিয়। নিষেধ সত্ত্বেও সে চলিয়া গেল। সেখান হইতে ফিরিয়া আসিবার পথে মথুরা, বৃন্দাবন, এলাহাবাদ এবং কাছাকাছি অনেক তীর্থস্থান দর্শন করিয়া আসিল । সীতাকুগুতে স্নান করিবার পর তার কানে খুব যন্ত্রণা হয় এবং তাহ লইয়াই বাড়ীতে ফিরিয়া আসে । বাড়ী আসার পর নানা রকম সেবা-যত্নে কানের যন্ত্রণা অনেকটা কমিয়। আসিতেছিল, কিন্তু সেই সময় ঠাকুর কোম্পানীর হিসাবপত্ত্বর চুকাইবার জন্য তাহাকে শিলাইদহে জমীদারিতে যাইতে হয় । সাহানা ওখানে আমার ছোট জায়ের কাছে ছিল, তাহাকে সেই সময় ওখানে একজন ইংরাজ মাষ্টার পড়াইত । সারা দিনরাত হিসাবপত্র লইয়া বলু এত ব্যস্ত থাকিত যে, সময়মত স্নানাহার তাহার হইত না, কখনও বা বেলা তিনটায় কখনও বা

  • এই মিলন সাধনের জন্ত বলেন্দ্রনাথ ১৮৯৮ সনের মে ও জুলাই মাসে আর্য্যসমাজের সহিত ইংরেজীতে যে পত্রবিনিময় করিয়াছিলেন, ১৮২০ শকের আষাঢ় ও ভাদ্র স’থা তত্ত্ববোধিনী পত্রিকায় তাহ উদ্ধৃত হইয়াছে। আষাঢ়-সংখ্যায় প্রকাশিত দুইখানি পত্রের অনুবাদ পরবর্তী শ্রাবণ-সংখ্যায় মুদ্রিত হইয়াছে।