বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য-সাধক-চরিতমালা পঞ্চম খণ্ড.pdf/৫৩৫

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

মৃত্যু ছয় মাস দেওয়ানের কার্য্য করিবার পর ১৯০৯ সনের ৩০এ নবেম্বর রমেশচন্দ্র বরোদায় পরলোকগমন করেন। তাহার মৃত্যুতে সমগ্র ভারত শোকাচ্ছন্ন হুইয়াছিল । সুরেশচন্দ্র সমাজপতি তৎসম্পাদিত ‘বসুমতী’তে লেখেন :– স্বদেশনিষ্ঠ, স্বদেশবাসীর প্রিয় রমেশচন্দ্ৰ,--বিচক্ষণ রাজকৰ্ম্মচারী রমেশচন্দ্র, কংগ্রেস-যজ্ঞের অন্যতম অধ্বষু , বাগ্মী রমেশচন্দ্র,--দান বঙ্গসাহিত্যের ভক্ত উপাসক, ঔপন্থাসিক, ঋগ্বেদের অনুবাদক রমেশচন্দ্র,--ইংরাজী সাহিত্যে লব্ধপ্রতিষ্ঠ, নানা ইংরাজী গ্রস্থের প্রণেতা রমেশচন্দ, রাজস্ব ও শাসনব্যবস্থায় পারদর্শী, সুতাকিক, কজ্জন-বিজয় রমেশচন্দ্র,--রাজা ও প্রজার বন্ধু, বিজ্ঞ ব্যবস্থাপক রমেশচন্দ্র, গায়কবাড়ের অমাতা, বরোদার দেওয়ান রমেশচন্দ্র,ভারতের সকল শুভানুষ্ঠানের হিতকামী কৰ্ম্মবীর । ভারতের কল্যাণকামনয় চিরজীবন যাপন করিয়া, তুমি কৰ্ম্ম-মন্দিরেই চির-বিশ্রাম করিলে ! সাহিত্য ও শিক্ষা, রাজনীতি ও শাসন-ব্যবস্থা, চিস্তার সাম্রাজ্যের কেন বিভাগে তোমার কৃতিত্বের পরিচয় মুদ্রিত নাই ? তোমার অভাবে বঙ্গদেশ দরিদ্র হুইয়াছে । ভারতবর্ষ চিন্তাশীল মনীষী হারাইয় অশ্র জলে তোমার স্মৃতির পূজা করিতেছে । ভারতের, বাঙ্গালার, এ শোক কি তুলিবার ? তোমার অভাব কি সুদূর ভবিষ্যতেও ফুর্ভাগ্য ভারতবর্ষ পূর্ণ করিতে পারবে ?