বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (একাদশ ভাগ).pdf/৬২

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । [भ ज९था ঠিক ততগুলি অক্ষর সমাবেশিত হইয়াছে। ইহার একটী অক্ষর তুলিয়া লইলে ভাষার অঙ্গহানি হইবে, ক্রমের বিপৰ্য্যয় ঘটবে। বাগযন্ত্রের স্থান বক্রগতি । কণ্ঠনালী ও জিহবামূলের সংযোগ স্থান হইতে ওষ্ঠপ্ৰান্ত পৰ্যন্ত বাগযন্ত্রের অধিকার। কণ্ঠনালী হইতে বক্রভাগে কিছু উৰ্কে গিয়াছে। উৰ্দ্ধভাগে যাইতে যাইতে ক্রমশঃ নিম্নভাগে আসিয়া অৰ্দ্ধবৃত্তাকার ধারণ করিয়াছে। uDD DB DBDBB BDBD DDBB BD DD BDDDBD D BD DBBD DB যায়, তখন নানা “ক্ষুটধানি” উচ্চারিত হয়। সংস্কৃত ভাষায় এক একটা অক্ষর “এক একটা ক্রমোৎপন্ন স্কুটধ্বনিব্যঞ্জক। ২ কণ্ঠনালী হইতে ওষ্ঠপ্রান্ত পৰ্যন্ত স্থানের মধ্য দিয়া উদানবায়ু যখন বহির্গত হইতে যায়, তখন বিভিন্ন স্থানে জিহবার সাহায্যে বাধাপ্ৰাপ্ত হইলে অতিহত হইয়া বিভিন্ন ধ্বনি উৎপাদন করে। এই অভিঘাত স্থান ৫টি। যথা-১ কণ্ঠ, ২ তালু, ৩ মূৰ্দ্ধা, ৪ দন্ত, ৫ ওষ্ঠ। এই ৫টী অভিঘাত স্থান হইতে ৫ জাতীয় যে স্ফটিধর্মনি, তাহাই আমাদের বর্ণ। আবার অভিঘাত স্থানে উদানবায়ুকে অভিঘাত স্থানসম্ভব মূৰ্ত্তি দিয়া যে স্বয়ং সিদ্ধধবনি উচ্চারণ করা যায়, তাহারাই নাম স্বর। আর অন্য একপ্রকার অভিঘাতে যে ধ্বনি সস্তৃত হয়, তাহা স্বরের সাহায্য ব্যতীত উচ্চারিত হয় না । স্বরসংযোগ করিবামাত্র অভিঘাত স্থানে আবদ্ধ ধ্বনি স্ফুট ভাবে শ্রত হয়। ইহারই নাম ব্যঞ্জন। এই প্রকারে দেখান যাইতে পারে যে নৈসর্গিক ক্রমান্বয়ের অনুসারে প্রত্যেক বর্ণের উচ্চারণ স্থানে ক্রমানুযায়ী পৌৰ্ব্বাপৰ্য্য স্থির করা হইয়াছে। ব্যঞ্জনগুলিকে তাহদের উচ্চারণানুসারে ও মাত্ৰা স্পর্শানুসারে ভিন্ন ভিন্ন বর্ণে সংযোজিত করা হইয়াছে এবং প্রত্যেক বর্গের বর্ণকেও তাহার মাত্রাস্পর্শানুসারে পূর্বে ও পরে স্থাপিত করা হইয়াছে। সংস্কৃত ভাষায় প্রত্যেক বৰ্ণ বিশুদ্ধ উচ্চারিত ধ্বনি প্ৰকাশ । করে। এ বিশুদ্ধ ভাষায় উচ্চারণ অদ্বিতীয় অর্থাৎ এক বর্ণের উচ্চারণ অন্য বর্ণের উচ্চারণের नश्छल मन। छेशएड qकौ७ अथशाचनौन अश्कल नाई। উপসংহারে বক্তব্য এই—যিনি ভারতীয় বিবিধ বর্ণমালা ও বৈদেশিক বৰ্ণমালা যত্নসহকারে ধীরভাবে আলোচনা করিবেন, তিনিই দেখিতে পাইবেন যে হিন্দুর বর্ণমালা হিন্দুর নিজ সম্পত্তি। দেখিবেন, হিন্দু যেমন ন্যায় ও দর্শন, শিল্প ও সাহিত্য, কাহারও নিকট হইতে গ্ৰহণ করেন নাই, সেইরূপ বর্ণমালাও হিন্দু কাহারও নিকট গ্রহণ করেন নাই। তিনি দেখিবেন, এ বিষয়ে ও হিন্দু সৰ্ব্বজাতির শীর্ষস্থান অধিকার করিয়াছেন। এক কথায় বলিতে গেলে, উড়িষ্যার শিল্পদর্শনে বঙ্কিমচন্দ্ৰ যাহা বলিয়াছেন, হিন্দুর বর্ণমালার উদ্ভাবন বিষয়ে পুনরুক্তিস্থলে তাহার অ্যাভাষমাত্ৰ বিষ্ণু প্ৰবন্ধ সমাপ্ত করিব। — “তখন তাহার হিন্দুকে মনে পড়িবে। তখন মনে পড়িবে, উপনিষদ, গীতা, রামায়ণ, মহাভারত, কুমারসম্ভব, শকুন্তলা, পাণিনি, কাত্যায়ন, সাংখ্য, পাতঞ্জল, বেদান্ত, বৈশেষিক,- এ সকলই হিন্দুর কীৰ্ত্তি-তখন মনে পড়িবে হিন্দুকুলে জন্মগ্রহণ করিয়া জন্মসার্থক করিয়াছি।” শ্ৰীঅমূল্যচরণ ঘোষ বিদ্যাভূষণ।