বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষষ্ঠ ভাগ).pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

SS8 সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা । { ৩য় সংখ্যা । এবং বিশেষণ যোজনার ক্ৰটী প্ৰভৃতি হইতে সাহিত্যের রীতিদোষ উৎপন্ন হইয়া থাকে।” তিনি রূপক ও উপমার ভেদ নির্দেশ করিতে গিয়া লিখিয়াছেন-ব্যাখ্যাবিশিষ্ট রূপকাই উপমা । যদি কেহ মহাবীর একিলিজের বর্ণনা করিতে গিয়া বলে যে, “সিংহ যেমন বেগে আক্রমণ করে তিনিও তদ্রুপ যোদ্ধৃবর্গকে আক্রমণ করিয়াছিলেন।” তাহা হইলে এই বাক্যটি উপমার দৃষ্টান্ত হইবে। কিন্তু এরূপ ভাবে বাক্য প্রয়োগ না করিয়া যদি কেহ বলে “সেই সিংহ সেই যোদ্ধগণকে বেগে আক্রমণ করিয়াছিল।”, তাহা হইলে এই বাক্যটি রূপকের দৃষ্টান্ত হইবে। বৃদ্ধ বয়স না বলিয়া জীবনের সন্ধ্যা এই রূপ বাক্য ব্যবহার করিলে রূপক হইবে । শ্রোতৃবর্গের চিত্তাবস্থা, বক্তার স্বভাব, বিষয়ের সঙ্গতি এই সমুদায়ের মধ্যে সামঞ্জস্য সংস্থাপন করিয়া বাক্য প্রয়োগ করিতে পারিলে ঔচিত্য অলঙ্কারের দৃষ্টান্ত হয়। রূপক, বৈষম্য ও বৈশদ্য এই তিনের অবলম্বন পূর্বক বর্ণিত বিষয় শ্রোতৃদ্বগের নেত্রপথে पठानझन्म रक दारुँ ७2ठिङाका डाव्ाक्षाइट्स । আলঙ্কারিক আইসোক্রেটিস বাক্যকে চারি ভাগে বিভক্ত করিয়াছেন। প্রথম পূৰ্ব্বাভাস, দ্বিতীয় বিবৃতি, তৃতীয় প্ৰমাণ, চতুর্থ বাগিতা। আলেকজাণ্ডারের সময় হইতে অগষ্টসের রাজত্ব পৰ্য্যন্ত কয়েক শতাব্দী মধ্যে অলঙ্কার বিদ্যার ভাগ্য গ্ৰীসদেশের নূতন নুতন অবস্থান্তরের দ্বারা শাসিত হইয়াছিল। এই সময় গ্ৰীকৃগণ বিভিন্ন উদ্দেশ্যে আগমন করিয়া এসিয়া-মহাদেশের নানা স্থানে অবস্থিতি করেন। গ্ৰীকৃগণের মধ্যে অলঙ্কার বিদ্যার যে সকল নিয়ম আবিষ্কৃত হইয়াছিল তাহা এসিয়ামহাদেশে আগমন করায় বহু জাতির সংসর্গে নানাপ্রকারে রূপান্তরিত ও দুষিত হয়। এসিয়া-মহাদেশে অলঙ্কারের যে সকল নূতন নিয়ম আবিষ্কৃত হইল, তাহার অনুকরণ করিয়া খৃঃ পূঃ ১৯৫ অব্দে হােক্সটেনসিয়াস প্রভৃতি বক্তগণ রোমপ্রদেশে অলঙ্কার-শাস্ত্রের আলোচনা করিতে প্ৰবৃত্ত হন । খৃঃ পূঃ ১১০ অব্দে ইয়োলিস দ্বীপে হারমেগোরস্ নামক কোন পণ্ডিত অলঙ্কার-বিদ্যার সমুন্নতি সাধন করেন। তিনি আরিষ্টেটলের প্রবৰ্ত্তিত অলঙ্কার সুত্ৰসমূহ এবং আরিষ্টেটলের পূৰ্ববৰ্ত্তী আলঙ্কারিকগণের নিয়মাবলী এতদুভয়ের মধ্যে সামঞ্জস্য স্থাপন করিয়া এক নূতন আলঙ্কারিক সম্প্রদায়ের সৃষ্টি করেন। আইসোক্রেটিস আথেন্স নগরে অলঙ্কার বিদ্যার যেরূপ উন্নতি সাধন করিয়াছিলেন, রোমনগরের অলঙ্কারবিদ্যাও হারমেগোরসূকর্তৃক তদ্রুপ উন্নতির পথে আনীত হইয়াছিল। তিনি এসিয়া মহাদেশে প্ৰবৰ্ত্তিত অলঙ্কারসূত্ৰসমূহের সংস্কার সাধন করিয়াছিলেন। মহামতি শিশিরো রোমনগরের অলঙ্কারবিদ্যার uBDS ZY SDB BBDBD LBB DtBBBD gDD DBD DBDDBB BDDBDBDBL DDD S ৯০ খৃষ্টাব্দে কুইনটিলিয়ান “অরেটিয়া” নামক যে সুবৃহৎ অলঙ্কার গ্রন্থ প্ৰণয়ন করেন, তাহাতে লিখিয়াছেন, ছাত্ৰগণের অলঙ্কারবিদ্যার অধ্যয়নের দ্বারাই হৃদয়ের ও মস্তিষ্কের শক্তিসমূহের সম্পূর্ণ বিকাশ হওয়া উচিত।