বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষষ্ঠ ভাগ).pdf/২৫৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

Ma ooW) কবিরঞ্জন রামপ্ৰসাদ সেন । SKGම් দিলেও কাৰ্য্য সম্পন্ন হইতে পারিত । ধনীর পক্ষে টাকা গ্ৰহণ করা বড়ই লজ্জার কথা ছিল। বিশেষতঃ নীচ ঘরের সহিত আদান প্ৰদান ততোধিক অপমানজনক বলিয়া বিবে- | চিত হইত। অবশ্য নিতান্ত দায়ে ঠেকিয়াই রাঘবের ও তাহার ভগিনীদিগের আদান প্ৰদান নিম্ন ঘরে হইয়াছিল। জয়কৃষ্ণ বর্তমান থাকিতে কি তাহার মৃত্যুর পর এই কাৰ্য্যগুলি সম্পন্ন হইয়াছিল, তাহা অবধারণ করা যায় না । হীনাবস্থায় পতিত হইয়া, হয় জয়কৃষ্ণ কি তঁাহার পুত্রেরা, কুমারহট্ট কুটুম্বাশ্রয়ে বাস করিতে বাধ্য হইয়াছিলেন। জগদীশ দাস সম্পন্ন লোক না হইলে কখনও উচ্চ ঘরে বিবাহ করিতে পারিতেন না । ধনীর পক্ষে কুটুম্ব পরিপোষণ করাও আস্বাভাবিক কাৰ্য্য নয় । “শিশুকালে পিতা মৈল রাজ্য নিল চোরে” রামপ্ৰসাদ যে এইরূপ একটী কথার অবতারণা করিয়া গিয়াছেন, সাধারণতঃ উহ পাঠে বোধ হয় যেন রামপ্ৰসাদের পিতার মৃত্যুর পর তঁাহারা হীনাবস্থায় পতিত হইয়াছিলেন। কিন্তু তাহাদের দৈন্যের বিষয়ে তাহার প্রপিতামহ জয়কৃষ্ণের সময় হইতেই উল্লেখ झूठे श्व। ब्राभeनाप সেন। কুমারহট্ট গ্রামে জন্ম গ্ৰহণ করিয়াছিলেন, এই জন্যই বলিয়া গিয়াছেন “ধরাতলে ধন্য সে কুমারহট্ট গ্ৰাম”। এখন দেখা যাউক “পূৰ্ব্বাপর শুদ্ধমূল” কথা কেন স্ববংশের সহিত যোজনা করিয়া গিয়াছেন। বৈদ্য সম্প্রদায় মধ্যে সিদ্ধ ও সাধ্য, এই দুইটি থাক আছে। ধন্বন্তরি, শক্তি, মৌদগল্য ও কাশ্যপ এই চারিটি সিদ্ধ গোত্ৰ; কিন্তু কৰ্ম্মের হীনতা প্ৰযুক্ত সিদ্ধবংশ হইতে অনেকে সাধ্যভাব প্ৰাপ্ত হইয়াছে। যাহারা মধ্যবিধ, তাহারা মৌলিক বলিয়া পরিগণিত হয় ; বিনায়ক বংশ মহাকুলীন হইলেও কাৰ্য্যতঃ তন্মধ্যে কেহ কুলীন, কেহ মৌলিক, কেহ সম্মৌলিক বলিয়া পরিগণিত হয়। রামপ্ৰসাদের বংশ এই সন্মৌলিক বাচ্য ছিল। সাধ্যাবৎ ভাবনা হওয়া প্ৰযুক্ত এবং মুলবংশের শুদ্ধতা হেতু তিনি স্ববংশকে শুদ্ধমূল বলিয়া উল্লেখ করিতে কুষ্ঠিত হন নাই। বলা বাহুল্য রামপ্রসাদের পূর্বপুরুষেরা ধনী ও কুলীন ছিলেন। তৎসময়ে শ্রেষ্ঠত্বের যে কয়েকটি লক্ষণ ছিল, তন্মধ্যে কুলকাৰ্য্যপরায়ণতাও একটা । কবিরঞ্জনের প্রপিতামহ পৰ্য্যন্ত সে প্রথাটি রক্ষিত হওয়ায় তাহারা যে সম্পন্ন লোক ছিলেন, তাহী বিশ্বাস করা যায়। পরে দীনতা প্ৰযুক্ত সেই নিয়মের উল্লঙ্ঘন হয়। আমরা এই খানেই প্ৰস্তাবের উপসংহার করিলাম। আজকাল জাতিগত ও বংশগত বিষয় লইয়া যেরূপ নানা প্ৰকার গোলযোগ উপস্থিত হইতেছে, তাহাতে সাধক কবিরঞ্জনের এই পরিচয় প্ৰদান করা বোধ হয় অপ্রাসঙ্গিক নহে। পাঠক এতৎপ ঠে আরও পরিজ্ঞাত হইতে পারিবেন যে, পুৰ্ব্বকালে বৈদ্যেরা কেবল জাতীয় চিকিৎসা ব্যবসায় অবলম্বন করিয়া জীবিকা নির্বাহ করিতেন না । তঁহাদের মধ্যে অনেকে রাজকৰ্ম্মচারী ও ভূম্যধিকারী ছিলেন। আমরা ধন্বন্তরি-বিনায়কবংশের কথামাত্র এই স্থলে উল্লেখ করি।- লাম। অন্যান্য গোত্র হইতেও এতাদৃশ অনেক দৃষ্টান্ত প্ৰদান করা যাইতে পারে। शौचानन्लनाथ ब्रांघ्र ।