বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সাহিত্য পরিষৎ পত্রিকা (ষোড়শ ভাগ).pdf/২২০

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

&obo সাহিত্য-পরিষৎ-পত্রিকা [ 8rí airil °७िड5 दाख्न्का বেদনিনাদন জালিয়া ধূপ দীপ ধূনা ৷” কিন্তু গানের সুর লক্ষ্য করিয়া ভাষার শব্দের উচ্চারণ অনুমান করা চলে না। ১৩১৫ সালের সাঃ পঃ পত্রিকায় চণ্ডীদাসের কএকটি চতুৰ্দশ পদাবলী ছাপা হইয়াছে। পদাবলীর ‘লেখক শ্ৰীগণেশরাম শৰ্ম্মণ: সাং কুতুলপুর’ ( বাঁকুড়া জেলা ) । পদগুলি তিন শত বৎসরের পুরাণ পুথিতে ছিল। অতএব লিপিকার, লিপিকরের বাসস্থান এবং সময়, তিনটি বিষয়ই জানা গিয়াছে । এই পদাবলীতে দেখিতেছি, অভিনীত হ’অ অতিসঅ স্রবন হািরস সসী জার। জদি জাএ ইত্যাদি আছে। সংস্কৃত শব্দের বর্ণাশুদ্ধি দেখিয়া মনে হয় “শৰ্ম্মা’ হইলেও লিপিকর লেখাপড়া জানিতেন না। অতএব শূন্য পুরাণের বানানের সহিত এই পদাবলীর বানান তুলনা করিতে পারা যায়, এবং পুরাণখানিকে অন্ততঃ তিন শত বৎসরের পুরাণ বলিতে পারা যায়। নগেন্দ্ৰবাবুও পুথির বয়স আত মনে করিয়াছেন। বর্তমান শূন্য পুরাণের উত্তরসীমা এক রকম পাইলাম, পুৰ্ব্বসীমা কি ? নগেন্দ্রবাবু রামাই পণ্ডিতকে প্ৰায় নয়শত বৎসরের পুরাতন বলিয়াছেন । ইহাতে আমাদের কোন বক্তব্য নাই। আমাদের সন্দেই এই যে, তিনি যে রামাইর সময় দিয়াছেন, শূন্যপুরাণের গায়ক রামাইরা কি বোধ হয় না। সেই সময় ? এই দুই রামাই এক প্রমাণ, ( ১ ) শূন্য পুরাণের সৃষ্টিপাত্তনে লিখিত আছে, এক সময়ে রেখা রূপ বর্ণ চিহ্ন রবিশণী রাতিদিন জলস্থল পাহাড় পৰ্ব্বত স্থাবর জঙ্গম ঠাকুরের দেউল দোহারা পৈরাগের মাধব, ইত্যাদি কিছুই ছিল না। তখন “দেবস্থল নহি ছিল না ছিল জগন্নাথ ।” দেবস্থল ছিল না, জগন্নাথ ছিলেন না । এই উক্তি হইতে বুঝিতেছি, বঙ্গদেশে জগন্নাথদেব প্ৰসিদ্ধ হইবার পর সৃষ্টিপওন লেখা হইয়াছিল। কোন সময়ে জগন্নাথদেব বঙ্গদেশের লোকের নিকট খ্যাত হইয়াছিলেন ? পুরাবিৎ নগেন্দ্ৰবাবু ইহার উত্তর দিতে পারেন। পুরীর বর্তমান মন্দির খুঃ ১২ শতাব্দীতে নিৰ্ম্মিত হইয়াছিল। ইহার পূর্বে ও জগন্নাথ দেব ছিলেন ; কিন্তু বিশেষ প্ৰমাণ না পাইলে দেশ দেশান্তরে তঁাহার খ্যাতি ছিল বলিয়া স্বীকার করিতে পারি না । পুরীর মন্দিরের “মাদলা পাজী” ঐ সময়ের পরের আছে, পুর্বের নাই। ইহাতেও বোধ হয়। বৰ্ত্তমান মন্দিরনিৰ্ম্মাণের সঙ্গে সঙ্গে জগন্নাথ দেবের খ্যাতি বিস্তৃত হইয়াছিল। যাহা হউক, সন্দেহ দাড়াইতেছে এবং বোধ হইতেছে শূন্যপুরাণের যে টুকুও নয় শত বর্ষ পূর্বের রামাই পণ্ডিতের রচিত নহে। বলা বাহুল্য, . বেদব্যাস যে কালেই থাকুন। তঁহার নাম দিয়া আজিও পুরাণ রচিত হইতে পারে। (২) শূন্যপুরাণ পড়িলে বেদব্যাসের কথা মনে পড়ে। বুড়া ব্যাস কখন ছিলেন, কে জানে। হয়ত তিনি দ্বাপরযুগে কুরুক্ষেত্র যুদ্ধের সময় ছিলেন। যদি তাই হয়, সেই ব্যাস যখন পুরাণ লিখিতেছেন, তখন আপনাকে হরির এক প্রাচীন অবতার বলিয়া জানাইলে সন্দেহ জন্মে। (শ্ৰীমদভাগবত দেখুন)। শূন্যপুরাণেও দেখিতেছি, পূর্বকালে চারিজন, কোথাও দেখিতেছি, পাঁচজন পণ্ডিত ছিলেন। সত্যযুগে শ্বেতাই পণ্ডিত, ত্ৰেতাযুগে নীলাই পণ্ডিত, দ্বাপরযুগে