এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
পঞ্চম গর্ভাঙ্ক
মুর্শিদাবাদ—নবাব-দরবার
মীরজাফর, জগৎশেঠ, মহাতাবচাঁদ ও স্বরূপাঁদ, রায়দুর্লভ প্রভৃতি
জগৎ। নবাব বোধ হচ্ছে, যুদ্ধে যাবার পরামর্শের নিমিত্ত দরবারে ডেকেছে, যে প্রকারে হয়, নবাবকে নিরস্ত কর্তে হবে। ইংরাজ আমাদের বিস্তর উৎকোচ দিয়েছে।
মীরজাঃ। কিন্তু ভাব্ছি সে দিন মতিঝিলে যেরূপ অপমানিত হয়েছিলেম, নবাবের ইচ্ছার প্রতিরোধ কর্তে গিয়ে আজ আবার সেরূপ অপমানিত না হই। সে বার বৃদ্ধা নবাব-বেগমের অনুরোধে, সিরাজ রাজকার্য্যে আমাদের পুনরায় সংস্থাপিত করেছে; এবার কর্ম্মচ্যুত ক’র্লে, আর বেগমের অনুরোধ শুন্বে না। এখন মীরমদন, মোহনলাল পরামর্শদাতা, তাদের পরামর্শমতই কার্য্য হবে। অতি সাবধানে নবাবকে ইংরাজ-যুদ্ধে বিরত করা উচিত। যেরূপ শুনছি, সকতজঙ্গ তো মানুষ নয়। আমাদের এক ভরসা ইংরাজ, তাদের সঙ্গে যোগ দিলে কতকটা নবাবকে দমনে রাখ্তে পারা যাবে।
স্বরূপচাঁদ। ইংরাজ উচ্ছেদ হ’লে, নবাবের দৌরাত্ম্যে কি আর রক্ষা থাক্বে।
জগৎ। সকতজঙ্গের নিমিত্ত দিল্লী হ’তে ফার্মান আন্তে তো বিস্তর ব্যয় কর্লেম। এদিকে সকতজঙ্গটা বানর। ভাব্ছি, বুঝি বা আমার অর্থব্যয় বিফল হয়। (মীরজাফরের প্রতি) দেখুন, মহাশয়ের পরামর্শে অর্থ ব্যয় করেছি।