বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সুবল সখার কাণ্ড - দীনেশচন্দ্র সেন.pdf/৭৭

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

রাধা চমকে উঠে অবগুণ্ঠনবতীর ঘোমটা খুলে মুখ দেখলেন, তখন দুইটি সজল চোখের মিনতিপূর্ণ দৃষ্টিতে যেন তঁর মনে সুধা বৃষ্টি হ’ল। নাপিতনীর ছল ছেড়ে দিয়ে কৃষ্ণ বল্লেন, “তোমার অভিসারের পূর্বেই আমার অভিসার - হ’ল, এ দুইটি কোমল পায়ে কেমন করে পথের কঁাটা কঁকার ভেঙ্গে অভিসারে যাবে রাই ?” কানুর চোখ দিয়ে জল পড়ল, রাই বল্লেন, “তোমার জন্য যেন জন্মে জন্মে। পথের কঁাটা ও কঁকড় ভেঙ্গে পথে চলি, আমি বাসনার রাজপথে যেতে চাই না, এমন ভাগ্যি যেন হয় যে তোমার পথের কষ্ট আমার সুখ বলে মনে হয় ।” দুজনের চোখের জল তখনও শুকায় নাই, এমন সময় বীণা-ধ্বনির মত মিষ্ট স্বরে বিশাখা বল্লে, “নাপতনীকে পেলে আর রাইএর আমাদের মনেই লাগে না।” R