বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সুরলোকে বঙ্গের পরিচয়.pdf/১৫৮

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

[ २> ] বিধিবদ্ধ নিয়ম অন্যথা করিতে বাধ্য হইয়া আপনাদিগের অমর্য্যাদা করিয়াছেন। যাহা হউক অবশেষে তিনি আমাকে কহিয়াছেন—“যে নীচ ভাষার শব্দগণ কহিয়াছিল বঙ্গদেশের কোন প্রকার প্রবন্ধে তাহারা স্থান পায় নাই। তদৰ্থে গ্রন্থাদি প্রবন্ধ ও অন্তান্ত রচনাতে তাহাদিগকে স্থান দিবার নিমিত্ত অনেক লেখককে প্রত্যাদেশ করিয়াছি। পরে জানিলাম তাহার মিথ্যা কহিয়াছে যে হেতু বহুকালাবধি বঙ্গদেশের বিচারালয়ে শ্রীরাম পুরের সংবাদ পত্রে ও কিতাবর্তী লেখায় তাহাদিগের অধিকার হইয়াছে। সৰ্বজজ, মুন্সেফ, ডেপুটীকলেক্টর মেজিষ্ট্রেট বাহাদুরদিগের মধ্যে, যাহারা বঙ্গভাষায় রায় ফয়শাল নটশ রোবকারী রোয়দাদ লিখিয়া থাকেন ঐ সকলের সমস্ত স্থানই বিকলাঙ্গ ইতর শব্দে পরিপূরিত থাকে। র্তাহারা, যে যেমন ব্যক্তি র্তাহার সেইরূপ মান রক্ষা করিয়া বঙ্গভাষা লিখিতে অভ্যাস করেন এরূপ বিকলাঙ্গ পুত্রের ইচ্ছ। নয়। এমন কি বিচার পতিরা কোন ধনবান মান্তমান ভূস্বামি প্রভৃতি যাহারা তাহাদিগের প্রভুতুল্য লোক তাহাদিগের প্রতি কোন কথার উক্তি করিবার সময়ে সে-দেয় সে-করে, সে উপস্থিত হয়, সে-যায়, তাহারা ইত্যাদি ইতর অবিনয়ী শব্দের প্রয়োগ করিয়া থাকেন। ইহা দেখিয়া পুত্রের আনন্দের সীমা নাই। ইতর শব্বদিগের অধিকার এইরূপে অনেক দুর পর্য্যন্ত পরিস্বত হইয়াছে এবং তদ্বারা বিচারপতিদিগের অৰ্ব্বাচীনতা ও অসভ্যতাও বিশেষ রূপে প্রকাশ পাইয়। থাকে। সভ্য গবর্ণমেণ্টও ঐরূপ ইতর ভাষা লিখন প্রণালীকে