পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/১৭৬

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

झङ्कर्थ अझ । ১৩৭ না ; অতএব তুমি আমার জীবনবৃত্তান্তটি যথাশ্ৰুত আমূল স্মৃতিপথে উদিত করিয়া রাখিবে। স্থলোচনা, সেই দিন হইতে প্রাণবল্লভের জীবনচরিত এক একবার মনে মনে আলোচনা করিতেন। তিনি যদি ও জানিতেন যে উহা কোন অংশেই অন্যের জানিবার উপায় নাই, তথাপি অভাগিনীর ভাগ্যে কি ঘটিবে বলা যায় না ; এই আশঙ্কাক্রমে উহা অভ্রান্তরূপে স্মরণপথে রাখিতে যত্নবর্তী হইলেন। রাজকুমারী মনের ব্যাকুলতায়, হৃদয়নাথের নিকটে লিখিলেন যে, “প্রাণনাথ! তুমি কোনরূপে দাসীকে বিস্মৃত হইও না, ছদ্মবেশে আসিয়া অধিনীর মনোবাঞ্ছা পূর্ণ, করিও । আমি ওচরণ ভিন্ন আর কিছুই জানি না।” এইরূপে উভয়ের মনের ভাব, পত্রদ্বারা উভয়ের নিকট ব্যক্ত হইলে, র্যাহার যাহা কৰ্ত্তব্য তাহা পূর্বেই স্থিরীকৃত হইল। মহারাজ অরুণবীৰ্য্য, সংসার ললামভূত স্থলো চনাকে অচিরে প্রাপ্ত হইবেন মনে মনে এই আশা মৃগতৃষ্ণিকায় প্রতারিত হইয়া ঐশ্বৰ্য্যের প্রাচুর্য্য দেখাইবার জন্য এবম্বিধ সমৃদ্ধি সহকারে ব্রতোজ্জাপন কার্য্যের