বিষয়বস্তুতে চলুন

পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/১৮৯

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

b o মুলোচনা কাব্য ।له তাহাতে আরোহিত হইয়া, অভিন্নহৃদয়, চিরসহায় সহোদর স্নেহে জলাঞ্জলি দিয়া রাজভোগের পরিভো নিবিষ্টমনা হইয়া, সেই অসহায় ভ্রাতৃপরায়ণ উপায়” বিহীন অকৃত্রিম প্রণয়াম্পদকে এককালে বিস্মৃত হওনের কথার উল্লেখ হইল, তখন শ্বেত, আর স্থির থাকিতে ন৷ পারিয়া বিহালচিত্তে অনর্গল অশ্রুজলে অভিষিক্ত হইতে লাগিলেন । বীরজিৎসিংহ, অরুণবীৰ্য্যকেই যখন স্বীয় জ্যেষ্ঠপুত্র বলিয়া নিশ্চয় জানিতে পারিলেন, তখন সতৃষ্ণনয়নে বারম্বার শ্বেতের মুখপানে দৃষ্টি করিয়া মনে মনে অনিৰ্ব্বচনীয় স্থখানুভব করিতে লাগিলেন। বসন্তের বলার আর বিরাম নাই, মনে দৃঢ় বিশ্বাস ছিল যে, কথার শেষ না হইলে স্বয়ং প্রকাশ হইব না ; সুতরাং পিতার ও ভ্রাতার আচরণ বিশেষরূপে বর্ণন করিতে আরম্ভ করিলেন । এমন কি সেই কথিত কথায় অনেকেরই অন্তরে অরুণবীর্য্যের প্রতি বিরাগ উৎপাদন করিল। বসন্তের শেষাবস্থার বিবরণ শ্রবণে প্রায় সকলেরই মনে দুঃখের সঞ্চার হইয়াছিল, বাস্তবিক ঐ অংশটি সাধারণের পক্ষেই মৰ্ম্মান্তিক যাতনাপ্রদ ও শোকাবহু, ইহাতে যে তদীয় পিতা ও ভ্রাতার মনে