পাতা:সুলোচনা কাব্য.pdf/৬১

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা হয়েছে, কিন্তু বৈধকরণ করা হয়নি।
৫২
সুলোচনা কাব্য।

ভাবে দণ্ডায়মানা থাকিয়া রাজমহিষীর মুখ হইতে কেবল কাতরস্বরে এইমাত্র বাক্যস্ফুরণ হইতে লাগিল যে, শীঘ্র মহারাজকে ডাকিয়া আন, যাতনায় আমার প্রাণ প্রয়াণের উপক্রম হইয়াছে। পরিচারিকাগণ তাঁহার সেই কাতরোক্তিকেই আদেশ জ্ঞান করিয়া নরপতিসন্নিধানে গমন করতঃ উপস্থিত বিপৎপাতের কথা তাঁহার গোচর করিল। মহীপতি, মহিষীসংক্রান্ত অসম্ভব অবস্থার কথা শুনিয়া আর কোন ক্রমেই স্থির থাকিতে না পারিয়া সাতিশয় ব্যাস্ততার সহিত অন্তঃপুরে রাজ্ঞীর শয়নাগারে উপস্থিত হইলেন। তথায় সমাগত হইয়া প্রাণাধিক প্রিয়তমার অঙ্গাবরণ শোণিতাদ্র সন্দর্শনে একবারে জড়প্রায় নিশ্চল হইয়া চিত্রিত পুত্তলিকাবৎ নিস্তব্ধভাবে দণ্ডায়মান রহিলেন; কিন্তু জিজ্ঞাসা করিতে কি কোন কথা বলিতে পারিলেন না; ভয়ে ও দুঃখে তাঁহার সর্ব্বশরীর কাঁপিতে লাগিল, অঙ্গে স্বেদবিন্দু নির্গত হইতে লাগিল। সেই ভাবে কিয়ৎকাল অতীত হইলে, বীরজিৎ সিংহ, লাবণ্যময়ীর সমীপস্থ হইয়া মৃদুস্বরে কহিলেন, প্রিয়ে! কে তোমার এরূপ অবস্থা করিয়াছে শীঘ্র প্রকাশ করিয়া বল, আমি প্রতীজ্ঞা করি-