পাতা:সেকালের কথা - জলধর সেন.pdf/১০৩

উইকিসংকলন থেকে
এই পাতাটির মুদ্রণ সংশোধন করা প্রয়োজন।

সেকালের ছাত্ৰ-শাসন অনেকেরই হয় তা স্কুলে বিদ্যারম্ভ হয়েছে। তঁদের কাছে সেকালের পাঠশালায় যে কি ভাবে ছাত্রদের শাসন করা হোতে, শাস্তি দেওয়া হোতো-তা একেবারে নূতন বলে মনে হবে; আর সে কথা শুনলে অনেকে অবাক হ’য়ে যাবেন। এখন ছেলেরা ইচ্ছা করলেই স্কুল কামাই করেন ; তারপর স্কুলে যাবার দিন বাবা, কি কাকার কাছ থেকে মাষ্টার মহাশয়ের নামে একখানা চিঠি নিয়ে গেলেই তাদের আর কিছু ভাবতে হয় না ; নিতান্ত অমনোযোগী ও দুরন্ত ছেলেও স্কুলে তেমন শাস্তি পায় না । এখন হয় তা এক আনা দুই আনা জরিমানা হয়, আর বেশী হয় তা দাড়িয়ে থাকতে হয় এক ঘণ্টা কি আধা ঘণ্টার জন্য ; মাষ্টারের বেতের ভয় এক রকম উঠেই গিয়েছে বলতে হবে । কিন্তু, আমরা যখন পাঠশালায় গুরুমশাইয়ের কাছে পড়তাম, তখনকার নানা রকমের শাস্তির কথা মনে করলে এই বুড়ে বয়সেও হৃদিকম্প উপস্থিত হয় । সে কথা থাকুক, এখন আমাদের ছেলেবেলার পাঠশালার শাসনেরই দুই-একটা চিত্ৰ দিচ্ছি। এর থেকেই সেকালের পাঠশালার ছাত্ৰ-শাসন সম্বন্ধে একটু পরিচয় পাওয়া যাবে। আগেই বলেছি, এখন অমনোযোগী বা দুৰ্দান্ত କ୫: